গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গত শুক্রবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানার ইশ্বরীপুর এলাকায় অভিযান চালায় রাজ্য পুলিশের এসটিএফের বিশেষ টিম। স্থানীয় হাজি রশিদ মোল্লার বাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ কার্তুজ। এরপরই বাড়ির মালিক সহ তিনজনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হলেও ফের আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বসিরহাট থেকে ফারুক মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ব্যক্তির কাছ থেকে ডবল ব্যারেল আগ্নেয়াস্ত্র ও চারটি ফ্যাক্টরি মেড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। আর এই কার্তুজের খোলসেই লুকিয়ে রয়েছে আসল রহস্য। এভাবে তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে।
জানা গিয়েছে, ধৃত হাজি রশিদ মোল্লার কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কিনেছিল ফারুক। তার কাছ থেকে সেই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ফারুকের কাছে যে চারটি কার্তুজ পাওয়া গিয়েছে সেগুলি ‘ফ্যাক্টরি মেড’। যা বিবাদী বাগ বিপণির নয় বলে জানা যাচ্ছে। সেজন্য এসটিএফ-এর ধারনা, উদ্ধার হওয়া কার্তুজগুলো অন্য কোনও লাইসেন্সপ্রাপ্ত দোকান থেকে কেনা। প্রাথমিক তদন্তে রাজ্য় এসটিএফ মনে করছে, এই ‘অস্ত্র ভাণ্ডারে’র সঙ্গে বিবাদী বাগের বিপণি ছাড়াও আরও একাধিক বিপণির যোগসূত্র রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আরও বিস্তারিত তদন্ত করছে এসটিএফ।
Advertisement
প্রসঙ্গত এই মুহূর্তে শহরজুড়ে ৮ থেকে ৯ টি বিপণি রয়েছে। এই কার্তুজ সেইসব বিপণি থেকে কেনা হয়েছে, নাকি সরাসরি ফ্যাক্টরি থেকে পাচার করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Advertisement
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে এই ঘটনায় মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৫ জন। বাড়ির মালিক হাজি রশিদ মোল্লা ছাড়াও বাকিরা হলেন হাসনাবাদের বাসিন্দা বছর চল্লিশের আশিক ইকবাল গাজি, পঁয়তাল্লিশ বছরের আবদুল সেলিম গাজি ও শান্তিপুরের জয়ন্ত দত্ত। ধৃত জয়ন্ত দত্ত আবার বিবাদী বাগের লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্র বিপণিতে কর্মরত। তদন্তকারীদের সন্দেহ, অর্থের বিনিময়ে ওই বিপণি থেকে অস্ত্র পাচার করত জয়ন্ত। সন্দেহের নিরসন করতে শনিবার ওই বিপণিতে হানা দেয় পুলিশ। অভিযান চালিয়ে রেজিস্টার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
Advertisement



