প্রায় ৩০ বছর আগে ওপার বাংলা ছেড়ে এপার বাংলায় এসে বসবাস করছে বহু পরিবার। প্রায় প্রত্যেকেরই ভোটার কার্ড, আধার কার্ড এবং রেশন কার্ড রয়েছে। তাঁরা ভোটও দিয়েছেন। বিভিন্ন সরকারি সুবিধাও পাচ্ছেন। তবে ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁদের কারও নাম নেই। পূর্বস্থলী দু’নম্বর ব্লকের কালেখাঁতলা ১ নম্বর পঞ্চায়েতের ২টি বুথে মোট ১৮২০ জন ভোটার আতঙ্কে রয়েছেন। ১৯৬ নম্বর বুথে ৮৭০ জন ভোটার হলেও ২৫০ জনের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নেই। পাশের বুথ ১৯৭ নম্বরে মোট ভোটার ৯৫০ জনের বেশি। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় এই বুথের ৫০০ ভোটারের নাম নেই।
এসআইআরের ফর্ম পেলেও শেষ পর্যন্ত কী হবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তার প্রহর গুনছেন সবাই। এ প্রসঙ্গে কালনার মহকুমাশাসক অহিংসা জৈন অবশ্য তাঁদের আশ্বস্ত করে মঙ্গলবার বলেছেন, ‘২০০২–এর তালিকায় নাম নেই বলেই নাম বাদ চলে যাবে, এমন নয়। তাঁরা নথি জমা দেওয়ার পরে শুনানি হবে। ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’
Advertisement
সরকার ও প্রশাসনের উপর আস্থা রাখার কথা জানিয়েছে তৃণমূল ও বিজেপি। তৃণমূলের বক্তব্য, সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে তা মেনেই চলতে হবে। তৃণমূলের কালেখাঁতলা ১ নম্বর অঞ্চলের সভাপতি অজিত কুমার ঘোষ বলেন, ‘তাদের জন্য ফর্মে যেটুকু অংশ আছে, তা ফিলাপ করে দিতেই পারে। তাদের নাম থাকুক, নির্বাচন কমিশন সহানুভূতিশীল হোক।‘ বিজেপি জানিয়েছে, ‘আমরা চাইছি ওরা সকলে এখানেই থাকুক। যা নথি আছে তা জমা দিক। কোনও ভয় নেই।‘
Advertisement
Advertisement



