লক্ষ লক্ষ কিশােরীর স্বপ্নপূরণে সাহায্য করেছে কন্যাশ্রী প্রকল্প। আর তার জন্য গর্বিত, কন্যাশ্রী দিবসে টুইটে প্রকল্পের অসামান্য সাফল্যের কথাই তুলে ধরলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার সকালে টুইটে তিনি লেখেন, কন্যাশ্রী দিবসে বাংলার সব মেয়েদের সাফল্য আমি উদ্যাপন করছি।
আমি তাদের কৃতিত্ব, উৎসাহ আর নিষ্ঠার জন্য গর্বিত। কন্যাশ্রী প্রকল্প লক্ষ লক্ষ কিশােরীর স্বপ্নপূরণে সাহায্য করেছে। মহিলাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যেই আমাদের সর্দা কাজ করে যাওয়া উচিত। মেধা থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র টাকার অভাবে বহু কিশােরীকে পড়াশােনা ছাড়তে হত।
Advertisement
বহুক্ষেত্রেই দেখা যেত নাবালিকা অবস্থাতেই বিয়ের পিঁড়িতেওঁ বসতে হচ্ছে তাদের। স্কুলছুট এবং নাবালিকা বিয়ে বন্ধ করে ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার বন্দোবস্ত করার লক্ষ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Advertisement
২০১৩ সালে এই প্রকল্পের পথচলা শুরু। আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা ছাত্রীরা প্রকল্পের মাধ্যমে বার্ষিক ১০০০ টাকা বৃত্তি এবং এককালীন ২৫ হাজার টাকা বৃত্তি পায়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে পাওয়া টাকা উচচশিক্ষায় কাজে লাগাতে পারে ছাত্রীরা।
মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের কন্যাশ্রী প্রকল্প ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ২০১৭ সালের জুন মাসে ইউনাইটেড নেশনস থেকে সর্বোচ্চ জনসেবা পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছে কন্যাশ্রী।
৬২ টি দেশের ৫৫২ টি জনসেবামূলক প্রকল্পের মধ্যে সেরা পুরস্কার পায় কন্যাশ্রী। তার আগে ২০১৫ সালে স্কচ স্মার্ট গভর্নেন্স অ্যাওয়ার্ড পায় কন্যাশ্রী প্রকল্প। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের কন্যাশ্রী প্রকল্পের ঝুলিতে রয়েছে। একাধিক পুরস্কারের সম্ভার।
Advertisement



