বাংলার ডেয়ারির দুধের দাম বাড়ল। লিটার প্রতি প্রায় ৪ টাকা দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাংলার ডেয়ারির সবচেয়ে ভালো মানের দুধ ‘সুপ্রিম’-এর দাম একধাক্কায় বাড়ল প্রায় ৪টা। বেশ কিছু দিন ধরেই দাম ধাপে ধাপে বাড়ছিল। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে এক লাফে ৪ টাকা বেড়ে তা হল ৬০ টাকা। অক্টোবরে এই দুধের লিটারপ্রতি দাম ছিল ৫৬ টাকা। ১০ নভেম্বর অর্থাৎ সোমবার থেকেই নয়া দাম কার্যকর হচ্ছে।
‘সুপ্রিম’ ছাড়া অন্যান্য ব্রান্ডেরও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ‘তৃপ্তি’র লিটারপ্রতি দাম বেড়েছে দু’টাকা। ৫২টাকা থেকে হয়েছে ৫৪ টাকা। ‘স্বাস্থ্যসাথী ডবল টোন’ দুধের দাম ৪৬ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৮ টাকা লিটার। বছর দেড়েক আগে বাংলা ডেয়ারি ‘সুপ্রিম’ ব্যান্ডের দুধটিকে বাজারে আনে। তখন লিটারপ্রতি দাম ছিল ৫০ টাকা। দেড় বছরের মাথায় সেই দুধের দাম বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা। লিটার প্রতি প্রায় ১০টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
Advertisement
সরকারি সংস্থার দুধের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থার দুধের দামও বৃদ্ধি পয়েছে। তবে সরকারি সংস্থার দুধের দাম তুলনামূলকভাবে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে বাংলার ডেয়ারির একাধিক সরবরাহকারী জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক অতীতে কখনওই কোনও ব্র্যান্ডে লিটারে এক ধাক্কায় ৪ টাকা দাম বাড়েনি।
Advertisement
রাজ্য সরকারের প্রাণীসম্পদ দপ্তর সূত্রের খবর, বাংলার দুগ্ধ উৎপাদনের বাৎসরিক বৃদ্ধির হার ৯.৭ শতাংশ। দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন, ‘এই বছর অতিবৃষ্টির কারণে সবুজ ঘাস ও অন্যান্য গোখাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। এর ফলে দুধের উৎপাদন কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। কাঁচামালের দামও এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়েছে।’
তিনি আরও আরও বলেন, ‘দুগ্ধ উৎপাদকদের স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রাখতে বাংলার ডেয়ারি বিগত দু’বছর সর্বাধিক মূল্যে তাঁদের কাছ থেকে দুধ ক্রয় করে এসেছে। কাঁচামালের বর্ধিত দামের প্রভাব কাটিয়ে ব্যবসার অর্থনৈতিক সাম্য বজায় রাখতে বাংলার ডেয়ারির দুধের বিক্রয়মূল্য কিছুটা বাড়াতে হয়েছে।’
সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে অন্যান্য সংস্থার দুধের থেকে বাংলার ডেয়ারির দুধের বিক্রয়মূল্য লিটারপিছু ৪ টাকা থেকে ৬ টাকা কম রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। দুধের দাম বাড়লেও ঘি, আইসক্রিম, পনির ইত্যাদি দুগ্ধজাত পণ্যের দাম বাড়ানো হয়নি। দুধের দামবৃদ্ধি নিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘সরকারের অজুহাত—বৃষ্টি হয়েছে, খরচ বেড়েছে। তা হলে প্রশ্ন—পাঁচ বছরে কৃষি–পশুপালনে পরিকল্পনা কোথায়?’
Advertisement



