• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

এসআইআর আতঙ্কে ‘হঠাৎপল্লী’

২০০২ সালের ভোটার তালিকায় কারও নাম নেই। তবুও একালাবাসীদের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে আশ্বস্ত করেছেন কাউন্সিলর।

এসআইআর চালু হলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সরে যেতে হবে বলে বারবার উল্লেখ করেছে বাংলার বিরোধী দল বিজেপি। এই আবহে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ‘হঠাৎপল্লী’র বাসিন্দাদের। মেদিনীপুর শহরের একটি কলোনির নাম ‘হঠাৎপল্লী’। জানা গিয়েছে, জায়গাটিতে এক সময় ছিল ফাঁকা মাঠ ছিল। এখন সেখানে যাঁরা থাকেন, তাঁরা সবাই বাংলাদেশি। এখানকার বাসিন্দাদের ২০০২-এর ভোটার তালিকায় কারও নাম নেই। অনেকের মনে তাই প্রশ্ন জেগেছে, এসআইআর কার্যকর হলে কি উধাও হয়ে যাবে এই হঠাৎ পল্লী? ২০০২-০৩ থেকে একে একে বাংলাদেশ থেকে এসে এই কলোনি তৈরি করেছে বহু পরিবার। এখন এই হঠাৎ পল্লীতে প্রায় ১৫০ বাংলাদেশি ভোটারের বসবাস। প্রায় ৯০টি বাড়ি রয়েছে এই কলোনিতে। মেদিনীপুরে বসবাস শুরুর পর তাঁরা ভোটার কার্ড-সহ যাবতীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করেছেন।

এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক সময় দাঙ্গার আগুনে জ্বলছিল বাংলাদেশ, সেই সময় চলে এসেছেন তাঁরা। কেউ কাঁটাতার পেরিয়ে, কেউ বা দালাল ধরে এদেশে প্রবেশ করেছেন। তারপর ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন তাঁরা। আর এভাবেই মেদিনীপুর শহরে গজিয়ে উঠেছে ‘হঠাৎপল্লী’। তবে এসআইআর যত এগিয়ে আসছে ততই ঘুম উড়ছে এলাকার বাসিন্দাদের। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর অনিমা সাহা বলেছেন, কম দামে জমি কিনে ফাঁকা জায়গায় বসতি গড়ে উঠেছে। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় কারও নাম নেই। তবুও একালাবাসীদের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে আশ্বস্ত করেছেন কাউন্সিলর।

Advertisement

Advertisement

Advertisement