কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ে এবার মোদিকে চিঠি মমতার

৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিতে হবে। সম্প্রতি মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক এমন নির্দেশ দিয়েছে।

Written by SNS Kolkata | July 12, 2020 2:00 pm

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Photo: IANS)

৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিতে হবে। সম্প্রতি মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক এমন নির্দেশ দিয়েছে। আর সেই নির্দেশকেই কেন্দ্র করে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত রাজ্য মানবে না এমন ইঙ্গিত দিয়েই মান্বসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রককে আপত্তি জানিয়ে চিঠি পাঠায় রাজ্য। এবার সেই সিদ্ধান্ত দ্রুত যাতে পুনর্বিবেচনা করা হয় সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ওই চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পড়ুয়াদের ঝুঁকি ও ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এই করোনা আবহে পরীক্ষা না নেওয়াই উচিত। এদিন প্রধানমন্ত্রীকে যে চিঠি মমতা পাঠিয়েছেন তাতে তিনি লিখেছেন, প্রতিদিন শয়ে শয়ে পড়ুয়ার ই-মেল পাচ্ছেন এবং সেই সঙ্গে শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে যুক্তরাও তাকে মেল করছেন। সকলেই ইউজিসি যে গাইডলাইন দিয়েছে পরীক্ষা নিয়ে তার বিপক্ষে মতামত দিচ্ছেন। সকলেই চাইছেন পড়ুয়াদের আগের পরীক্ষার ফল বিবেচনা করে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হোক।

এদিকে, কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত মেটাতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় একটি বৈঠক ডাকেন। শুক্রবার রাজ্যপালের এই ডাকা বৈঠকে হাজির হননি রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের প্রধান সচিব। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের সংগঠন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা পরীক্ষার বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারে পরামর্শ মানবেন, ইউজিসি’র নয়।

এদিকে, উপাচার্যরাও এদিন বৈঠক করেছেন। সেখানে ঠিক হয়েছে, রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী মূল্যায়ন করা হবে। রাজ্য সরকারের মতো তাদের বক্তব্য, পড়ুয়াদের সুস্থ থাকার স্বার্থে এবং ভবিষ্যতের কথা ভেবে চুড়ান্ত সেমিস্টারের পরীক্ষা নিতে চান না। এর আগে ইউজিসির নির্দেশিকা অনুযায়ী রাজ্য সরকার মূল্যায়রে যে পরামর্শ দিয়েছে তার সঙ্গে তারা একমত। এই পরিস্থিতিতে করোনা আবহে পরীক্ষার্থী বা অভিভাবকরা কেউ-ই পরীক্ষার পক্ষে নয় বলে জানিয়েছে।

রাজ্যের তরফে অ্যাডভাইসারি জারি করে রাজ্যের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যে ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়ন নিয়ে নির্দেশিকা জারি করে দেয়। সেই নির্দেশ মোতাবেক কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় মূল্যায়ন পদ্ধতিকে নিয়ে নির্দেশিকা জারি করে ছাত্রছাত্রীদের ফলাফল প্রকাশ করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, ইউজিসি এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের নির্দেশ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে অনেক রাজ্যেই। মমতা সেকথাই চিঠিতে উল্লেখ করে দ্রুত সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আর্জি জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা বাতিল করার দাবি তুলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধিও। এদিন তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারির সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা বাতিল করে পড়ুয়াদের পুরনো ফলের ভিত্তিতে তাদের পরের পর্যায়ে উত্তীর্ণ করা হোক। এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়া মোটেই ঠিক হবে না।