কোভিড ও ইয়াস পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে সােমবার নবান্নে পর্যালােচনা বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সহ রাজ্যের বিভিন্ন দফতরের প্রধান সচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পুনর্গঠনে একাধিক পদক্ষেপে সিদ্ধান্ত হয়েছে এই বৈঠকে। টিকাকরণ নিয়েও জরুরি তথ্য ঘােষণা করেছেন বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে ইয়াস পরবর্তী ত্রাণ বন্টন ও পুনর্গঠনের কাজ নিয়ে যাতে স্বচ্ছতা বজায় থাকে, তা নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দৈন মমতা।
Advertisement
এদিন ইয়াস নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে যেখানে যেখানে জল ঢুকেছে, জল জমে থাকবে সেখানে ত্রাণ পাঠানাে হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, কেন্দ্রের কাছ থেকে সেরকম টাকা পাই না। তাই রাজ্যের ক্ষমতা অনুযায়ী সাহায্য করা হচ্ছে। নীতি আয়ােগের কাছে আরও ৫০০ ফ্লাড শেল্টার তৈরির জন্য টাকা চাওয়া হবে। ত্রাণের জন্য পদ্ধতি মেনে আবেদন করতে হবে বলে নির্দেশ দেন মমতা।
Advertisement
মুখ্যমন্ত্রী এদিন স্বীকার করে নেন, দিঘায় সৌন্দর্যায়নের কাজে গলদ ছিল। দিঘার পুনর্গঠনের ক্ষেত্রেও কিছু। পরিকল্পনার কথা বাতলে দেন মমতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানান, করােনা ২১ হাজার টাকা কমে সংক্রমণ দাঁড়িয়েছে ১১ হাজারে।
ইতিমধ্যেই রাজ্যে ১ কোটি ৪১ লক্ষ টিকাকরণ হয়েছে। এর মধ্যে ৪০ লক্ষ দ্বিতীয় ডােজ। টিকা কিনতে রাজ্যের ১ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। চেম্বার অফ কমার্স টিকা দিতে চাইলে রাজ্য সরকার তাদের সাহায্য করবে।
দেওচা পাচামি প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করতে হলে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘােষণা করেন মমতা। ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে খেল সিটি যত গ্রত সম্ভব শেষ করা হবে।
Advertisement



