ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মেদকে চিঠি পাঠালেন ক্ষুব্ধ মমতা

ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদিকে।

Written by SNS Kolkata | September 7, 2019 12:52 pm

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। (File Photo: IANS/PIB)

ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদিকে। রাজ্য সরকার বা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা না বলেই এই সংযুক্তিকরণ হয়েছে বলে অভিযােগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে বাংলাকে বঞ্চনার অভিযােগ তুলেও সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ঘােষণা করেন ১০টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণ ঘটিয়ে ৪টি করা হবে। যার মধ্যে অন্যতম এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক এবং ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। এলাহাবাদ ব্যাঙ্ককে জুড়ে দেওয়ার ঘােষণা হয়েছে ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের সঙ্গে। ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া জুড়ছে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের সঙ্গে।

মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক ও ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া এই দুটি বাঙ্ক রাজ্যের বহু ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে ঋণ প্রদান করে। কৃষকদের ক্রেডিট কার্ড, শিল্পীদের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও উপকৃত হন বহু গ্রামাঞ্চলের মনুষ। যদিও সংযুক্তিকরণের ফলে বহু শাখা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তাতে সমস্যায় পড়বেন মানুষ।

স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সংযুক্তিকরণের প্রসঙ্গ টেনে লিখেছেন, সেই সময় সংযুক্তিকরণের পর সারা দেশে প্রায় ৮০০ এবং পশ্চিমবঙ্গে অন্তত ৮০টি শাখা বন্ধ হয়ে যায়। পাশাপাশি, ব্যাঙ্ক অফ বরােদার সঙ্গে অন্যান্য ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণের সময়ও সারা দেশে ৮০০-৯০০ এবং পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৩০টি শাখা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এর ফলে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন।

ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ৬৫৯৮ জন এবং এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের ৪২০১ জন কর্মীর ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা, প্রধান কার্যালয় কলকাতা সই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করা এই সব কর্মীদের অনেকে কাজ হারাতে পারেন। সংযুক্তিকরণের ফলে ব্যাঙ্কিং সেক্টরের উপরে নেমে আসতে পারে সংকট।

মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে আরও লিখেছেন, পর্যাপ্ত আলােচনা না করেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির সংযুক্তিকরণ ঘটানাে হল। আমাদের মতাে গণতান্ত্রিক কাঠামােতে এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার ও সে রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলােচনা করাই দস্তুর। চিঠির শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যেন এই দু’টি ব্যাঙ্ককে সংযুক্তিকরণ না করা হয়। একই সঙ্গে দুই ব্যাঙ্কের সদর কার্যালয়ও যেন কলকাতা থেকে না সরানাে হয়।