থাকতে পারেননি কলকাতার ইসকনের রথযাত্রায়। দিঘার জগন্নাথধামে থাকতে হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাই বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটেয় ইসকনের জগন্নাথদেব দর্শনে হাজির হলেন তিনি। টিএআই প্যারেড গ্রাউন্ডে ইসকন মন্দিরের রথ পরিদর্শন করে জগন্নাথদেবকে প্রণাম করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে সারলেন আরতিও। মিনিট দশেক মন্দিরে উপস্থিত থেকে ভক্তিভরে জগন্নাথদেবের প্রার্থনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা এবং ইসকন কলকাতার দায়িত্বপ্রাপ্ত রাধারমণ দাস। কেন হঠাৎ উল্টো রথের আগে কলকাতার ইসকনে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী— আরতি শেষে তার ব্যাখ্যা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘সোজা রথে এখানে আসতে পারিনি, কারণ দিঘার জগন্নাথধামে আমি উপস্থিত ছিলাম। তাই এবার এখানে এসে জগন্নাথদেবের দর্শন করে গেলাম। আরতিও করলাম।’ নিজের সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় জগন্নাথদেবের মন্ত্রোচ্চারণ করে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জগন্নাথদেব হলেন জগতের পিতা। তাই জগন্নাথদেব সকলকে শান্তি দিন, স্বস্তি দিন, শক্তি দিন, বিপদ থেকে মুক্তি দিন এবং এই জগৎকে ধারণ করুন।’
উল্লেখ্য, উদ্বোধনের পর থেকেই দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে উপচে পড়ছে ভিড়। রথযাত্রার আগেই ৩০ লক্ষের বেশি ভক্ত সমাগম হয়েছে মন্দিরে। সেই মন্দিরের প্রথম রথযাত্রার আয়োজনে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তদারকি করতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই গত কয়েক বছরের রীতি ভেঙে তিনি গিয়েছিলেন দিঘার সৈকতনগরীতে। তাই কলকাতার ইসকনের রথযাত্রায় থাকতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। এবার উলটো রথের আগেই ‘মাসির বাড়ি’ গিয়ে জগন্নাথ দর্শন সারতে চাইলেন মমতা। গত ৫৪ বছর ধরে কলকাতায় মহাসমারোহে রথযাত্রা করে থাকে ইসকন। শহরের একাধিক রাস্তা ঘুরে যাত্রা সম্পন্ন হয়। জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার রথ দেখতে ভিড় জমান কাতারে কাতারে মানুষ। তবে এই প্রথমবার প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে রথযাত্রার প্রতি মুহূর্তের আপডেট পৌঁছে দেওয়া হয়েছে আমজনতার কাছে। কলকাতা ইসকনের সহসভাপতি রাধারমণ দাস জানিয়েছিলেন, একটি লিংকে ক্লিক করলেই জানা যাবে, এই মুহূর্তে কোন এলাকায় রয়েছে রথ। এছাড়া কিউআর কোড স্ক্যান করার মাধ্যমেও রথের যাত্রাপথ জানা গিয়েছিল। উল্টো রথের ক্ষেত্রেও সেই প্রক্রিয়া চালু থাকবে।