আস্ত একটা পুকুর ভরাট করে ফেলা হয়েছে হুগলির নবগ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যগে। সেই পুকুরটি ছিল অঞ্চলের মাঝখানে জনাকীর্ণ জায়গায়।
প্রথমে সেই পুকুর পাড়ে জমা করা হয় আবর্জনা। পরে সেই আবর্জনা দিয়েই ভরাট করা হয়েছে পুকুরটি।
Advertisement
নবগ্রাম অঞ্চল পঞ্চায়েত এলাকায় চালু থাকা একটি প্রকল্প অনুসারে বাড়িগুলি থেকে তুলে আনে যাবতীয় আবর্জনা। এর জন্য বাসিন্দারা বাড়ি পিছু মাসে পঞ্চাশ টাকা করে দেন।
Advertisement
আগে এই প্রকল্পটি পরিচালনার ভার ছিল ‘গ্রীন পাথ’ নামে একটি এন জি ও তথা বেসরকারি সংস্থার হাতে। এখন পঞ্চায়েত নিজেদের উদ্যোগেই এই কাজটি করছে ।
তফাৎ, আগে এই আবর্জনা জড়ো করা হোত রেল লাইনের ধারে একটি বিচ্ছিন্ন ভূমি খন্ডে। সেই জায়গায় ঝাঢ়াই-বাছাই করে পূনঃ ব্যবহারযোগ্য জিনিস নিয়ে যেত এক দল।
পচনশীল আবর্জনা আলাদা করে , বাকি টা পুড়িয়ে দেওয়া হোত। একটা সময় উত্তর পাড়া পুরসভার সহযোগিতায় ওই আবর্জনা সরানোর চেষ্টা শুরু হয়।
কিন্তু কিছু দিন পর ” নির্মল বাঙলা মিশন” এর অন্তর্গত হুগলি জেলা পরিষদের উদ্যোগে ও নবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্যবস্থাপনায় অনেক ঘটা করে চালু হয় কঠিন বর্জ্য নিষ্কাশন প্রকল্প। সেই কাজে অঞ্চলের বাসিন্দারা মোটের ওপর সন্তুষ্টই।
কিন্তু ওই আবর্জনা জন বহুল এলাকায় একটি পুকুরে জড়ো করার ফলে দূষণ ও দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পরছে।
সংলগ্ন অঞ্চলের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ি-দোকানদারদের জীবন ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে পুকুরটি আবর্জনায় ভরাট হয়ে যাওয়ায় জল ধারণ ক্ষমতা শেষ হয়ে গেছে।
অল্প বৃষ্টি তেই জল জমছে রাস্তায়। এই বিষয়টি নিয়ে এলাকার মানুষ অন্য চক্রান্তের অভিযোগ করছেন।
তাই এবার বর্ষার শুরুতেই পুকুর ভরাটের ফলে রাস্তায় জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় বাসিন্দারা চরম অসন্তুষ্ট।
আবর্জনা অন্যত্র ফেলার ব্যবস্থা করে পুকুরটি আবর্জনায় ভরাট না করে সঙস্কার করার দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় মানুষ।
যদিও পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ কতটা বিষয়টি সম্পর্কে ভাববেন তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে স্থানীয় নাগরিক দের।
তবে সম্প্রতি সামাজিক সংগঠন “গন উদ্যোগ” বিয়য়টি নিয়ে সোচ্চার হওয়ায় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীপ্তি ভট্টাচার্যয।
জানিয়েছেন পুকুরটি পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে তারা চিন্তা ভাবনা করছেন।
তবে পুকুরটি প্লাস্টিক ও অন্য আবর্জনা দিয়ে ভর্তি করায় এলাকার জল যন্ত্রনা বাড়ায় মৎস দফতরেও অভিযোগ জমা পড়েছে।
Advertisement



