রাজ্যপালের ট্যুইটের ব্যাখ্যা দিয়ে চিঠি উচ্চশিক্ষা দফতরের

রাজ্যপালের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের ভিডিও কনফারেন্সে কিছু বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যরা গড়হাজির থাকা নিয়ে ক্রমেই রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত বড় আকার নিচ্ছে।

Written by SNS Bidhannagar | July 17, 2020 8:06 pm

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। (File Photo: IANS)

রাজ্যপালের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের ভিডিও কনফারেন্স বৈঠকে কিছু বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যরা গড়হাজির থাকা নিয়ে ক্রমেই রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত বড় আকার নিচ্ছে। এবার এ নিয়ে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে উপাচার্যদের অনুপস্থিতির কারণ ব্যাখ্যা করে চিঠি দেওয়া হল।

বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সচিবকে উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে একটি চিঠি দিয়ে জানানো হয়, রাজ্যের যে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক বা যোগাযোগের জন্য আচার্যকে আগে উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।২০১৯ সালের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বিধি ৮ (৫) অনুযায়ী এটাই নিয়ম।

জানা গিয়েছে, এই চিঠির শুরুতেই রাজ্য সরকারের বিশেষ সচিব রাজ্যপালের উদ্দেশে লেখেন, ১২ জুলাই রাজ্যপাল তথা আচার্যের করা টুইটের প্রতি আমি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই ওই টুইটে তিনি একটি ভিডিও কনফারেন্সের উল্লেখ করেছেন, যেখানে উপাচার্যদের সেই ভিডিও কনফারেন্সে অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে লিখেছিলেন।

রাজ্য সরকার এই ট্যুইটটি দেখে রীতিমতো অবাক হয়েছে। কারণ, আচার্য ও উপাচার্যদের মধ্যে এমন কোনও ভিডিও কনফারেন্সের বিষয়ে সরকার কিছুই জানত না। এরপর চিঠিতে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ২০১৯-এর বিধির উল্লেখ করে লেখা হয়, এই বিষয়ে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বিধি (৮৫)র প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করাতে চাই।

এই বিধি অনুযায়ী, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গে আচার্য যে কোনও রকমের যোগাযোগ করতে চাইলে সর্বপ্রথম তা রাজ্য উচ্চশিক্ষা দফতরের কাছে পাঠাতে হবে। যদি দফতরের তরফে অনুমোদন মেলে, তবেই এই যোগাযোগ করা যাবে। সুরাং আচার্য ও উপাচার্যদের মধ্যে কোনওরকম বৈঠক হওয়ার আগে এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক। তা না হলে বিধি লঙ্ঘিত হবে।

তবে এখানেই শেষ নয়, এই চিঠির মাধ্যমেই এই বিষয়ে রাজ্যপালের ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে বলে খবর। প্রসঙ্গত, বুধবার রাজ্যপাল টুইট করে লেখেন, ভার্চুয়াল কনফারেন্সে পড়ুয়াদের কথা ভেবে উপাচার্য এবং সহ উপাচার্যদের যোগ দেওয়া উচিত। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে কিছু উপাচার্য পড়ুয়াদের স্বার্থ রক্ষা করতে ব্যৰ্থে হয়েছেন ভার্চুয়াল কনফারেন্সে উপস্থিত না থেকে। তারপরই বৃহস্পতিবার উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে তাঁর টুইটকে মাথায় রেখে এই চিঠি পাঠানো হয় বলে শিক্ষা মহলের দাবি।