বিবাহিতা মহিলার প্রেমে পড়ে বারুইপুরের বেপরােয়া যুবক টুকান দাস ওরফে শুভ্রজিৎ। প্রেমিকা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। ব্লক করে দেয় যুবকের মােবাইল। শ্বশুরবাড়ি থেকে আশ্রয় নেয় নরেন্দ্রপুরে বাপের বাড়িতে। ক্ষিপ্ত যুবক শনিবার বিকেলে শ্বশুরবাড়ির লােক দিয়ে ডাকিয়ে প্রেমিকা গৃহবধু রাস্তায় এলে তাঁকে বন্দুক দেখিয়ে গাড়িতে জোর করে তুলে বারুইপুরে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে।
মেয়েকে তুলে নিয়ে গেছে। জেনে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার জগন্নাথপুরের বাসিন্দা শ্যামল মণ্ডল বারুইপুর থানায় অভিযােগ দায়ের করে শনিবার সন্ধ্যায়। পুলিশ রাতেই গৃহবধুকে অবুঝ প্রেমিক বারুইপুর এগারাে নং ওয়ার্ডের নতুন পাড়ার বাসিন্দা।
শুভ্রজিতের বাড়ি থেকে উদ্ধার করতে গেলে, শুভ্রজিৎ পুলিশকে দেখে শুন্যে গুলি চালায়। শুরু হয় ধ্বস্তাধ্বস্তি। জখম হন উদ্ধারকারী তিন পুলিশ ও অভিযুক্ত যুবক টুকান। সকলকেই প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। উদ্ধার হয় গৃহবধূ। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
বারুইপুর পুলিশ জেলা সূত্রে জানা গেল, ধৃত টুকান ওরফে শুভ্রজিতের কাছ থেকে একটি বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র ও চার রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। ধৃতকে বারুইপুর আদালতে তােলা হচ্ছে। সূত্রের খবর, ফেসবুকের মাধ্যমে গৃহবধূর সঙ্গে যুবকের পরিচয়। সম্পর্ক জানাজানি হতে শ্বশুর বাড়িতে অশান্তি হলে গৃহবধূ বাপের বাড়ি চলে আসে।
ভবিষ্যত জীবনের কথা ভেবে গৃহবধূ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলেও বদরাগী প্রেমিক যুবক নাছােড়বান্দা। এমন ঘটনায় তাজ্জব নরেন্দ্রপুর ও বারুইপুরের মানুষ। পুলিশ সব দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে।
