কর্মবিরতি থেকে সরে আসার কথা বললেও কবে থেকে কাজে ফিরবেন তা স্পষ্ট করে জানালেন না জুনিয়র ডাক্তাররা। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ১০ ঘণ্টা ধরে চলা জিবি বৈঠকের পর আন্দোলনের ধরণ বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। কর্মবিরতির পরিবর্তে আমরণ অনশনের মধ্য দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন জুনিয়র ডাক্তাররা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিবাদ আন্দোলন জারি থাকবে, এমনটাই জানাচ্ছেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা।
রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার জন্যই কর্মবিরতি থেকে সরে আসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। আগামী সোমবার থেকে আমরণ অনশন শুরু হবে। কাজে ফিরলেও প্রতিবাদ আন্দোলন থামবে না। অভয়া হত্যার ন্যায় বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। কোনও ভাবেই প্রতিবাদের রাস্তা থেকে সরে আসা হবে না।
Advertisement
আন্দোলনের গতিপথ চূড়ান্ত করতে ১০ ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। জিবি বৈঠকে উপস্থিত বেশিরভাগ আন্দোলনকারী চিকিৎসক পূর্ণ কর্মবিরতি থেকে সরে আসার পক্ষে আলোচনা করেন। দাবি পূরণের জন্য রাজ্য সরকারকে সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের। পুজোর সময়ে বেশ কিছু জায়গায় অভয়া ক্লিনিক চালু রাখা হতে পারে।
Advertisement
গতকাল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে সিনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গেও বৈঠক হয় জুনিয়রদের। আন্দোলন চালানো হোক। তবে সিনিয়র ডাক্তারদের অনেকেই বার্তা দিয়েছিলেন পূর্ণ কর্মবিরতি তুলে নিয়ে কাজে ফিরুন জুনিয়র চিকিৎসকরা। আংশিক কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পক্ষেও মত প্রকাশ করেন সিনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ।
চিকিৎসক মৈত্রেয়ী ব্যানার্জির কথায়, ‘প্রতিবাদ চলতে থাক সবাই চাইছি। আংশিক হলেও কাজে ফিরুন জুনিয়র ডাক্তাররা। রোগী পরিষেবা যতটা সম্ভব সচল রাখার চেষ্টা করছেন সিনিয়রেরা। কিন্তু সরকারি হাসপাতালগুলিতে জুনিয়র ডাক্তারদের সাহায্য ছাড়া বিপুল রোগীর চাপ সামাল দিতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে সিনিয়র ডাক্তারদের।’
নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে জুনিয়রদের আন্দোলনে সিনিয়র চিকিৎসকরা পাশে আছেন বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়। এপ্রসঙ্গে এক সিনিয়র চিকিৎসক জানান, আন্দোলন কখনও বন্ধ হবে না। বিচার চাই আমরা। যতদিন পর্যন্ত না বিচার মিলছে, আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
Advertisement



