• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

দার্জিলিঙে হামরো পার্টিতে যোগদান বাড়ছে

গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা এবং বিজেপি-র কয়েক জন যোগ দিয়েছেন অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টিতে। এই আবহে কয়েক জন মোর্চা নেতাকে নিয়ে জল্পনাও দানা বেঁধেছে।

প্রতীকী ছবি (File Photo: IANS)

দার্জিলিং পুরসভার দখল নিতেই ভিড় বাড়ছে পাহাড়ের হামরো পার্টিতে। গত রবিবার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা এবং বিজেপি-র কয়েক জন যোগ দিয়েছেন অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টিতে। এই আবহে কয়েক জন মোর্চা নেতাকে নিয়ে জল্পনাও দানা বেঁধেছে।

দলবদলের কড়া সমালোচনা করেছেন মোর্চা প্রধান বিমল গুরুং। পুরভোটে পাহাড়ে নতুন শক্তির উত্থান ঘটেছে। মাত্র মাস তিনেক আগে জন্ম নেওয়া হামরো পার্টি পাহাড়ের ৩২ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮ টিতে জয় পেয়েছে।

Advertisement

এই আবহে গত রবিবার হামরো পার্টিতে যোগ দিলেন মোর্চার থেকে বিনয় তামাং ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় থুলুং এবং বলম তামাংয়ের মতো নেতারা।

Advertisement

অভিষেক শর্মা নামে এক বিজেপি নেতা ও যোগ দিয়েছেন ওই দলে। এ ছাড়াও মোর্চার আরও জনা কুড়ি কর্মী যোগ দিয়েছেন হামরো পার্টিতে। বিনয় ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় জিটিএ-র সদস্য ছিলেন।

বলম যুক্ত ছিলেন শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে। দলবদলের আবহেই মোর্চার মুখপাত্র বিনিতা বোকা এবং যুব সভাপতি প্রকাশ গুরুং ইস্তফা দিয়েছেন। ফলে তাঁদের নিয়ে জল্পনাও তৈরি হয়েছে।

প্রকাশের কথায়, “অন্য কোনও দলে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা নেই। মোর্চার নিজের লক্ষ্য থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। তাই আমি ইস্তফা দিয়েছি।” বিনিতার বক্তব্য, “আগামিদিনে কী পরিকল্পনা রয়েছে তা ভবিষ্যতে জানিয়ে দেব।”

দলত্যাগীদের কড়া সমালোচনা করে বিমল গুরুংয়ের বক্তব্য, “সামনেই গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের নির্বাচন। যাঁরা দলত্যাগ করছেন তাঁরা আসলে পদলোভী। কাজেই তাঁরা দল ছেড়ে অন্য দলে গিয়ে ভিড়ছেন। তবে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার উপর মানুষের আস্থা রয়েছে।

এমন ফলাফল কেন হল তা খতিয়ে দেখা হবে। অনেক দল আসবে, যাবে। কিন্তু আমরা থেকে যাব। পাহাড়ের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উপর আস্থা রয়েছে।”

Advertisement