• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

সুপ্রিম কোর্টে গেলেন চাকরিপ্রার্থীরা

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালের এসএসসি-র গোটা প্যানেলটিকে বাতিল করে দেওয়া হয়। এর ফলে চাকরি হারায় ২৬ হাজার জন চাকরিপ্রার্থী।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

ফের আইনি পথে চাকরিপ্রার্থীরা। স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ নিয়ে আবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা। স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হয়েছে। আদালতে মামলা করেছেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা। শুক্রবার সংশ্লিষ্ট নির্দেশের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে স্পেশাল লিভ পিটিশন (এসএলপি)। আগামী সপ্তাহে শীর্ষ আদালতে শুনানি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালের এসএসসি-র গোটা প্যানেলটিকে বাতিল করে দেওয়া হয়। এর ফলে চাকরি হারায় ২৬ হাজার জন চাকরিপ্রার্থী। এরপর নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। নতুন বিধিও প্রকাশ করা হয়। সেইমতো অনলাইনে আবেদন শুরু হয় ১৬ জুন থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত। তবে এরপরে আবেদনের সময়সীমা বাড়িয়ে করা হয় ২১ জুলাই পর্যন্ত। এসএসসি-র প্রকাশ করা নতুন বিজ্ঞপ্তিতে আপত্তি জানায় বহু চাকরিপ্রার্থী। তা নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি ছিল ২০১৬ সালের নিয়োগের পরীক্ষা কেন ২০২৫ সালের নিয়ম মেনে হবে। বয়সে ছাড়, পূর্ব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অতিরিক্ত ১০ নম্বর, শূন্যপদের সংখ্যা বৃদ্ধি এইসমস্ত দিক নিয়ে আপত্তি জানায় তাঁরা। এর পাশাপাশি নিয়োগের জন্য নূন্যতম নম্বরের মানদণ্ড ৪৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করে দেওয়া হয়েছে। এইসব বিষয় নিয়েই মামলা করা হয় হাইকোর্টে।

Advertisement

এই মামলা খারিজ করে দেয় বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দে-র ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্ট থেকে জানানো হয়েছিল, সুপ্রিম কোর্টের নতুন বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিদ্বন্দ্বী ও অযোগ্য বা দাগি হিসেবে চিহ্নিত নন এমন ব্যক্তিদের বয়সের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীদের এর মধ্যে কোনো দলেই ফেলা যাবে না। আদালত থেকে জানানো হয়েছে কোনোভাবেই এসএসসির বিজ্ঞপ্তিতে কোনোভাবেই হস্তক্ষেপ করা যাবে না। এটা সত্য যে, কমিশন এবং পর্ষদই বর্তমান অচলাবস্থার জন্য দায়ী। কিন্তু দ্রুত শূন্যপদ পূরণ করা এখন লক্ষ্য। না হলে আগামী দিনে আরও জটিলতা তৈরি হতে পারে।

Advertisement

Advertisement