দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এর জেরে রবিবার তাঁর বিরুদ্ধে ফের এফআইআর দায়ের করে বিজেপি। ছত্তিশগড়ের রাইপুরের মানা ক্যাম্প থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার কথা জানতে পেরে ফুঁসে উঠলেন মহুয়া। এফআইআর দায়েরকারীদের মূর্খ বলে তোপ মহুয়ার। তাঁর কথায়, মূর্খরা আসলে বাগধারা বোঝে না। তিনি আরও জানিয়েছেন, তিনি যে বাগধারা ব্যবহার করেছেন সেটা এফআইআরে বিকৃতভাবে দেখানো হয়েছে।
গত ২৬ আগস্ট মহুয়া মৈত্র কৃষ্ণনগরে একটি অনুষ্ঠানে যোগদান দিয়েছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে মন্তব্য করেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিশানা করে মহুয়া বলেন, ‘ভারতের সীমান্তরক্ষার দায়িত্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অনুপ্রবেশকারীরা ভারতের জনবিন্যাস বদলে দিচ্ছে বলে স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সময় প্রথম সারিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাঁড়িয়ে নির্লজ্জভাবে হাততালি দিচ্ছিলেন। যদি ভারতের সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে কেউ না থাকে, অন্য দেশের শয়ে শয়ে, লাখে লাখে মানুষ এদেশে ঢুকে পড়ে, তাহলে প্রথমেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মাথা কেটে প্রধানমন্ত্রীর টেবিলে রাখা উচিত।’
Advertisement
মহুয়া মৈত্রর এই মন্তব্য নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কীভাবে একজন সাংসদ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘মাথা কেটে নেওয়া’র কথা বলতে পারেন, সে প্রশ্ন তোলেন অনেকে। একাধিক বিজেপি নেতার দাবি, মহুয়া দেশবিরোধী কথা বলেছেন। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার তৃণমূল সাংসদকে খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘ইংরেজি জানলেই যে শিক্ষিত নয় তা মহুয়াকে দেখলে বোঝা যায়।’ এর আগে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি মুখপাত্র সন্দীপ মজুমদার কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। নদিয়ার কোতয়ালির পর ছত্তিশগড়ের রাইপুরের মানা ক্যাম্প থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৯৬ ও ১৯৭ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
Advertisement
এই এফআইআর নিয়েই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মহুয়া মৈত্র। তিনি বলেন, ‘আমি যা বলেছি, এফআইআরে সেটা একেবারে অন্যরকমভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। আসলে ভুয়ো এফআইআর দায়ের করার জন্য এভাবেই গুগল ট্রান্সলেটরের মাধ্যমে বাংলা থেকে ইংরাজি এবং ইংরাজি থেকে হিন্দিতে অনুবাদ করা হয় নির্দিষ্ট কিছু মন্তব্য। আসলে মূর্খরা বাগধারা বোঝে না।’ মহুয়া মনে করিয়ে দেন, এই ছত্তিশগড় পুলিশই বাংলার শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ভুয়ো এফআইআর দায়ের করেছিল।
Advertisement



