নদিয়ায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ভারতীয় ভূখণ্ডে পাওয়া গেল বাঙ্কার। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকার মাজদিয়ার সুধীররঞ্জন লাহিড়ি কলেজের কাছে এই বাঙ্কার তৈরি করেছিল পাচারকারীরা। শুক্রবার বিএসএফ এই বাঙ্কার থেকে উদ্ধার করেছে কাশির ওষুধের অসংখ্য বোতল।
মাজদিয়া কলেজের কাছে চাষের খেতের পাশে একটি ঘর বানিয়েছিল স্থানীয় কয়েকজন। ওই ঘর থেকে চাষের কাজ দেখভাল করা হয় দাবি ছিল তাদের। সেই ঘরেরই পাশে মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় ছিল বাঙ্কারের মুখটি, যা দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে প্রায় ৩ ফুট।
শুক্রবার তল্লাশি চালিয়ে বাঙ্কারের মুখ খুঁজে বার করে বিএসএফ। বাঙ্কারের ঢাকনা খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ তাদের। দেখা যায়, বাঙ্কারের মধ্যে রয়েছে পেটি পেটি কাশির ওষুধ। এর পর বিএসএফ জওয়ানরা নেমে কাশির ওষুধগুলি উদ্ধার করেন। তল্লাশি চালান গোটা বাঙ্কারটিতে।
এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বিএসএফ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এই বাঙ্কার কি শুধু পাচারের কাজেই ব্যবহার হত, না কি বাঙ্কার ব্যবহার করে ভারতে নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশি জঙ্গিদের, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে মাটির নীটে বাঙ্কারের খোঁজ মেলায় যদিও আশ্চর্য নন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, মাজদিয়া-সহ কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকার বিস্তীর্ণ সীমান্ত দীর্ঘদিন ধরে পাচারকারীদের স্বর্গরাজ্য। পুলিশের সঙ্গে আঁতাত করে এই কারবার চালায় পাচারকারীরা। মুনাফার বখরা যায় সব মহলে। কৃষ্ণগঞ্জের বহু ব্যক্তির বিনিয়োগ রয়েছে এই কারবারে। তাই অবাক হওয়ার কিছু নেই।
শনিবার সকালে সেই বাঙ্কার থেকে মাটি থেকে তোলা হয়। খোঁজ মেলে আর একটি বাঙ্কারের। আর কোথাও বাঙ্কার রয়েছে কি না, তার খোঁজ চালাচ্ছেন বিএসএফ আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই পুরো এলাকা নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলেছেন বিএসএফ জওয়ানরা।