জম্মু-কাশ্মীরে চেনাব রেল সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কৃতিত্ব নিয়েছেন সারা দেশের সঙ্গে কাশ্মীর উপত্যকাকে যুক্ত করার। জাতীয় পতাকা হাতে প্রধানমন্ত্রীর ফোটো শ্যুটও হয়েছে। তবে এই কাজের কৃতিত্বের দাবিদার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ২০০৯ সালে তিনি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন তিনিই বাজেট বক্তৃতায় এই কাটরা-কাজিগুন্ড বিভাগের কাজ শুরুর কথা ঘোষণা করেছিলেন। এই বিরাট কর্মযজ্ঞের সূচনা হয়েছিল সেদিনই। তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, তথ্য প্রমাণ মাফিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই এই প্রকল্পের সূচনা।
মমতা রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ২০০৯ সালের রেল বাজেট চূড়ান্ত হওয়ার সময় উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা এবং অন্যান্য জাতীয় প্রকল্পের জন্য অর্থ মন্ত্রকের কাছ থেকে ১ হাজার ৯৪৯ কোটি টাকার অতিরিক্ত তহবিল চাওয়া হয়েছিল। একই বাজেট বক্তৃতায় ঘোষণা করা হয়েছিল যে কাজিগুন্ড-অনন্তনাগ লাইনটি ৯ই আগস্টের মধ্যে শেষ হবে এবং উদ্বোধন করা হবে। কাটরা-কাজিগুন্ড বিভাগের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি নিয়োগ করা হয়েছিল।
Advertisement
জম্মু কাশ্মীরের রিয়াসি জেলার চন্দ্রভাগা নদীর উপর তৈরি হয়েছে চেনাব ব্রিজ। তার উপর দিয়ে চলা রেলপথের মাধ্যমে সরাসরি জুড়ে গিয়েছে শ্রীনগর এবং কাটরা। নতুন পথে এবার ছুটবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসও। মাত্র ৩ ঘণ্টায় পৌঁছনো যাবে শ্রীনগর থেকে বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের কাছাকাছি কাটরা স্টেশনে। শুক্রবার, নরেন্দ্র মোদি উদ্বোধন করেন এই উধমপুর-কাটরা-শ্রীনগর-বারামুলা রেলপথ প্রকল্প। তিনি উদ্বোধন করেন কাটরা-কাজিগুন্ড বিভাগের অংশটি। রেলমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০০৯-র বাজেট বক্তৃতায় এই কাটরা-কাজিগুন্ড বিভাগেরই কাজ শুরুর কথা ঘোষণা করেন। এর পরে, ২০১০ সালের বাজেট বক্তৃতায় কাজটি পর্যালোচনার পরে অনুমোদন করেন। জানান, উধমপুর-কাটরা অংশের কাজ জোরকদমে শুরু হবে।
Advertisement
প্রসঙ্গত, শুক্রবার কাটরা মঞ্চ থেকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তিনি বলেছেন, ‘আমি যদি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ীকে ধন্যবাদ না জানাই তাহলে বড় ভুল হবে। এই প্রজেক্ট শুরু হয়েছিল ১৯৮৩-৮৪ সালে। কিন্তু বাজপেয়ীজি একে জাতীয় স্তরের গুরুত্ব দিয়ে সেই অনুযায়ী বাজেটে বরাদ্দ করেছিলেন। তারপরই এটি সম্পূর্ণ হয়েছে।’
Advertisement



