দেশের মধ্যে হাওড়ায় তৈরি হচ্ছে প্রথম হােসিয়ারি পার্ক

দেশের মধ্যে সৎ হােসিয়ারি পার্ক তৈরি হচ্ছে হাওড়ায়। জগদিশপুরে ১২০ একর জমিতে ১৭০’টি ইউনিট তৈরির প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।

Written by SNS Kolkata | March 13, 2020 3:23 pm

পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। (File Photo: IANS)

হাওড়ায় ক্ষুদ্র শিল্পের প্রসারে উদ্যোগী রাজ্য সরকার। উদ্যোগপতিদের জন্য একগুচ্ছ পরিকল্পনা তাে রয়েইছে এছাড়া হবে বিপুল কর্মসংস্থান। রাজ্য সরকারে সঙ্গে হাত মিলিয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপতিদের জন্য রাজ্য জুড়ে বুধবার হবে এক বিশেষ কর্মশালা।

এছাড়া দেশের মধ্যে সৎ হােসিয়ারি পার্ক তৈরি হচ্ছে হাওড়ায়। জগদিশপুরে ১২০ একর জমিতে ১৭০’টি ইউনিট তৈরির প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এই প্রকল্প শুরু হওয়ার সঙ্গেই রাজ্যে ১ লাখ ৫ হাজার কর্মসংস্থান হবে বলে আশাবাদী রাজ্যের অর্থমন্ত্রক। এই প্রকল্পে ৫ হাজার কোটি টাকা লগ্নি করছেন দেশের প্রথম সারির নামী শিল্পপতিরা। ভারতের মধ্যে বাংলায় তৈরি হচ্ছে প্রথম হােসিয়ারি পার্ক বলে জানালেন অর্থমন্ত্রী ড. অমিত মিত্র। 

সুদূর তিরুপুর থেকে ফিরে সেই বাংলাতেই এই শিল্প স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন হেসিয়ারি অ্যাসােসিয়েশনের সদস্যরা। টেক্সট্রো বেঙ্গল প্রজেক্টের আওতায় এই হােশিয়ারি পার্ক রূপায়িত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। ইন্টিগ্রেটেড টেক্সটাইল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট নিয়ে ভারতের হােসিয়ারি বাজার ধরতে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বাংলা।

এই প্রসঙ্গেই হােশিয়ারি অ্যাসােসিয়েশনের এক উদ্যোগপতি মন্তব্য করেন, পুরাে হিন্দুস্তানে যদি কেউ বাচ্চাদের কাপড়-জামা কিনতে চান তাহলে কলকাতা থেকেই কিনতে হবে। শিল্প রূপায়ণে পাওয়ার সাব স্টেশন থেকে সড়ক যােগাযােগের সুবন্দোবস্ত করে দিয়েছে বাংলার সরকার।

১৪.৯৬ একর জমি রাজ্যে সরকারে তরফ থেকে কেনা হয় এবং পরবর্তীতে হস্তান্তরিত করা হয়েছে স্পেশ্যাল পার্পাস ভেইকেলকে। এক টাকা সেলামি দিয়ে জমিগুলি উদ্যোগপতিদের হাতে তুলে দিয়েছে রাজ্য প্রশাসণ। শিল্পের জমিতে ২০ হাজার টাকায় ভাড়ায় জমি প্রদান করা হচ্ছে। একটা গােটা দেশের কাছে নজির গড়তে চলেছে বাংলার সরকার বলে উৎচ্ছ্বসিত ড. অমিত মিত্র। 

এদিন হাওড়ার শরৎ সদনে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে জেলায় শিল্পের বিস্তারে রাজ্য প্রশাসণ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাওড়ার জেলা শাসক, ডিজি দমকল জগমােহন, এমএসএমই’র প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি রাজেশ পাণ্ডে, আইসি অ্যাণ্ড ই দফতরের সচিব আইএএস বন্দনা যাদব ছাড়াও এমএসএমই দফতরের শীর্ষ কর্তা ও আধিকারিকরা। হাজির ছিলেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপতিরা। 

এই অনুষ্ঠানে ২০০ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ঋণ প্রদান করা হয় উদ্যোগপতিদের। রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বিশ্বের দরবারে তাদের সামগ্রী বিক্রির ব্যবস্থা করে দিচ্ছে ফ্লিপকার্ট। নিখরচায় প্রশিক্ষণ দিয়ে বৃহত্তর শিল্পের বাজার কিভাবে ধরা সম্ভব তা দেখাবে ফ্লিপকার্ট।

৬ মাস প্রশিক্ষণ শেষে অনায়াসে গ্রামাঞ্চলের শিল্পীরাও এই সংস্থার মাধ্যমে এই উদ্যোগের নাম ‘সমর্থ’ বলেও জানিয়েছে সংস্থার এক আধিকারিক। এমএসএমইর সঙ্গে সংযােগ রক্ষা করে এই কাজ শুরু করবে ফ্লিপকার্ট। কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে ৯০ লক্ষ ক্ষুদ্র ব্যবসা রয়েছে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী ড. অমিত মিত্র।