ক্ষতিপূরণের টাকা মিলবে কীভাবে, নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক

মঙ্গলবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেট্রো কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ দিয়েছিলেন আপৎকালীন সাহায্য হিসেবে দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারপিছু ৫ লক্ষ টাকা করে দিতে।

Written by SNS New Delhi | September 6, 2019 1:10 pm

নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র নিয়ে বউবাজারের বাসিন্দারা বেরিয়ে আসছেন বিধ্বস্ত বাড়িগুলি থেকে। (Photo: IANS)

মঙ্গলবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেট্রো কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ দিয়েছিলেন আপৎকালীন সাহায্য হিসেবে দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারপিছু ৫ লক্ষ টাকা করে দিতে। বৃহস্পতিবার কলকাতা মেট্রো রেল করপােরেশনের (কেএমআরসিএল) এক্সিকিউটিভ কমিটির বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর সেই দাবি মেনে নিল কর্তৃপক্ষ।

মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার পি সি শর্মা জানিয়েছেন, বাের্ড মিটিং-এ সর্বসম্মতভাব এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। আপৎকালীন ক্ষতিপূরণ ছাড়াও সংসারখরচ বাবদ যে টাকা দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী আবেদন রেখেছিলেন, সেই বিষয়ে পরবর্তীকালে সিদ্ধান্ত নেবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পদ্ধতি এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে বৃহস্পতিবার মেট্রোকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয় নবান্নে।

পুর ও নগরােন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, আগামী দু-তিন দিনের মধ্যেই বউবাজারে ক্ষতিগ্রস্তদের চেক দেওয়া শুরু হবে। যারা গৃহহারা হয়েছেন অথবা যাদের দোকানঘর ভেঙে গিয়েছে স্থানীয় কাউন্সিলর এবং থানার ওসির তত্ত্বাবধানে তাদের একটি তালিকা প্রস্তুত করা হবে।

বউবাজারের ঘটনায় অনেকেই এমন আছেন, যাঁদের ব্যাঙ্কের সমস্ত নথিপত্র এমনকী এপিক কার্ডগুলিও ধ্বংস্তুপে হারিয়ে গিয়েছে। তাদের যাতে এই ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে কোনও অসুবিধে না হয়, সেজন্য প্রাথমিকভাবে তাদের স্থানীয় থানায় এফআইআর করতে হবে। সেই এফআইআর’এর কপি নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরের সুপারিশ নিয়ে ব্যাঙ্কে পে-ইন স্লিপের মাধ্যমে অস্থায়ীভাবে ব্যাঙ্কের লেনদেন করা যাবে। খােয়া যাওয়া আধার কার্ড, ভােটার কার্ড, ব্যাঙ্কের পাসবই করার জন্য এই এফআইআর কাজে লাগবে।

ফিরহাদ হাকিম বলেন, বউবাজারে এখনও বাড়ি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার ৪৮ ঘন্টা সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বললেও এখন তা সম্ভব হয়নি। এখনও বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনছেন তাঁরা । বউবাজারের বাড়ি ভেঙে পড়া অঞ্চলের স্থিতাবস্থা আনার বিষয়টা এখনও অনিশ্চিত। ওই অঞ্চলের জমির ভাঙন রােধ করার জন্য রাসায়নিক পাইলিং করা হচ্ছে। সেজন্য করপােরেশনের কাছে ২০০ গাড়ি জল চেয়েছিল কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ, যা দেওয়া হয়েছে।

ফিরহাদ বলেন, আগে মেট্রো কর্তৃপক্ষ শংসাপত্র দিলে তবেই জঞ্জাল সরানাের কাজে পুরসভা সহযােগিতা করবে। আর বাড়ি নির্মাণের জন্য শংসাপত্র দেওয়ার বিষয় তাে অনেক পরে। যতক্ষণ না পর্যন্ত মেট্রো রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ফিট সার্টিফিকেট দিচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত বউবাজারের পুনর্নিমাণ নিয়ে এগােনাে যাবে না।