সাংবিধানিক পদে থেকে ‘গুলি মারো’ নির্দেশ দেয় কী করে? বিজেপিকে তোপ মমতার

প্রথমে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়, এরপর রবিবার রাতে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলি চলল।

Written by SNS Kolkata | February 4, 2020 2:06 pm

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (File Photo: IANS)

প্রথমে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়, এরপর রবিবার রাতে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলি চলল। এই ঘটনায় বিজেপির দুঃখিত হওয়া তাে দূরস্থান, উল্টে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে গুলি চালানাের নিদান দিলেন বিপেজি নেতা। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে সােমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুললেন, প্রশাসনিক পদে থাকা ব্যক্তি কী করে গুলি চালানাের নির্দেশ দিতে পারে?

খােদ প্রধানমন্ত্রী দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে বিরােধীদের বিরুদ্ধে প্ররােচনামূলক কথাবার্তা বলেছে। দিল্লির মানুষের ওপর আস্থা রাখতে পারছে না বিজেপি। তাই কখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে, কখনও বাইরে পুলিশের গুলি লাঠি চালানাে হচ্ছে। অশান্তি করার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি। দেশে হচ্ছেটা কী?

সােমবার নবান্নে এই প্রশ্ন তোলার বহু আগে নন্দীগ্রামে গুলি চালানাের সময়েও এই ইস্যুতে আন্দোলনে নেমেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন অবশ্য তিনি বিরােধী দলনেত্রী ছিলেন। তাঁর আক্রমণের নিশানায় ছিল বাম সরকার। বর্তমানে রাজ্যের ক্ষমতায় থাকা মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন।

মমতা বলেন, আসলে বিজেপির কোনাে রাজনৈতিক ইস্যু নেই। দেশের উন্নয়নমূলক কোনও কাজ হচ্ছে না। দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। কৃষক, মজদুর শ্রেণির মানুষের অবস্থা শােচনীয়। মহিলাদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে সেসব দিকে ওদের কোনও মাথাব্যথা নেই। তাই কেউ ওদের বিরুদ্ধে কথা বললে তাদের ওপর অত্যাচার করছে। মানুষের বাক স্বাধীনতা হরণ করছে।

মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাখ্যা, ভয় থেকেই ওরা এই ধরনের কাজ করছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের এখানেও তাে পার্ক সার্কাসে মানুষ সিএএ’র বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছে। এখানে তাে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। ওরা আসলে গুণ্ডাগিরি করে, দাঙ্গাবাজি করে শাসন চলাতে চাইছে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যারাই ওদের বিরুদ্ধে কথা বলছে, তাদেরকেই সন্ত্রাসবাদী বলে দেগে দিচ্ছে ওরা। এরকম কোনও দেশে হয়। সবাই যদি সন্ত্রাসবাদী হয়, তাহলে ওরা কী? ওরা মানুষের পাশে নেই শুধু উস্কানি দিয়ে ফায়দা লােটার কাজ করে। ওরা আসলে গুণ্ডাবাজ, দাঙ্গাবাজ, ধান্দাবাজ। ওদের একটাই কাজ দেশটাকে ভেঙে টুকরাে টুকরাে করা। হিংসাত্মক রাজনীতি চালাচ্ছে বিজেপি।

সােমবার দিল্লিতে ভােট প্রচারে গিয়ে শাহিন বাগ নিয়ে নরেন্দ্র মােদি প্রায় একই ভাষায় আক্রমণ করেছে কংগ্রেস এবং আপকে। সােমবার দিল্লির রাজনীতির চাপানউতাের এসে পৌঁছল বঙ্গ রাজনীতিতেও।