“লকারের ভিতর কিভাবে ফিনাইল এলো? পুলিশ সাপ্লাই করেছে? এটারও তদন্ত হওয়া দরকার আছে”: দিলীপ ঘোষ

এধরণের অনশন বহুদিন ধরে হয়েছে, কেউ ধর্নায় বসেছে, কেউ অ্যাসিড খেয়েছে। পুলিশের সামনেই সব হয়। লকারের ভিতর কিভাবে ফিনাইল এলো?

Written by SNS Kolkata | June 17, 2022 1:52 pm

দিলীপ ঘোষ (Photo: IANS)

শুক্রবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রতিদিনের মতোই প্রাতঃভ্রমণে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। প্রাতঃভ্রমণ এর পরবর্তী সময়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দিলীপ ঘোষ।

এসএলটিসি ব্যাপারে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সে প্রসঙ্গে জানান,”এধরণের ঘটনা চারিদিকে ঘটছে। পুলিশের নেকলোজেনসির জন্যই হচ্ছে। পুলিশ ডিপার্টমেন্ট টাই ডিলে হয়ে গেছে। তাঁদের কোনো কাজ নেই, কিছু করতেও দেওয়া হয় না। যেভাবে এখানে উৎপাত চলেছে চার-পাঁচ দিন ধরে পুলিশকে কোথাও দেখতে পাওয়া যায়নি। কোথাও ছিল তো পালিয়েছে।

এধরণের অনশন বহুদিন ধরে হয়েছে, কেউ ধর্নায় বসেছে, কেউ অ্যাসিড খেয়েছে। পুলিশের সামনেই সব হয়। লকারের ভিতর কিভাবে ফিনাইল এলো? পুলিশ সাপ্লাই করেছে? এটারও তদন্ত হওয়া দরকার আছে।”

পরবর্তীতে চারজন অসুস্থ এসএলডটিসি মধ্যে দুজনের হদিস না পাওয়ার প্রসঙ্গে যখন তার মতামত চাওয়া হয় তখন সরাসরিভাবে জানান, “এটা খুব চিন্তার বিষয় আছে সরকারের দায়িত্ব খুঁজে বার করা। হয়তো ওনারা কোথাও চলে গেছে বা কোথাও সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কিনা ওনাদের। অন্য কিছু ঘটনা ঘটতে পারে। এটা চিন্তাজনক ব্যাপার।বিশেষভাবে খুঁজে বার করা উচিত।”

সর্বশেষে মধ্যশিক্ষা পরিষদে সিবিআই হানা প্রসঙ্গে দিলীপবাবু সাংবাদিকদের প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দিয়ে জানান,” আমরা যেটা দেখেছি যে ২৬৯ জন কে চাকরি থেকে ছাঁটাই করতে বলা হয়েছে। স্কুলে ঢুকতে বারণ করা হয়েছে। এর আগেও অনেক লিস্ট বেরিয়েছে যার মধ্যে টিএমসির নেতা আত্মীয় অনেকেই আছে।

পরীক্ষা না দিয়ে চাকরি পাওয়া, ফেল করার পর চাকরি পাওয়া বহু এরকম আছে, হাজার সংখ্যা আছে। সেগুলো তদন্ত হওয়া দরকার আছে। আর এগুলো যদি করতে হয় তাহলে পরীক্ষার যত নথি আছে, নিয়োগের লিস্ট সমস্ত কিছু ভেরিফিকেশন হওয়া উচিত। অফিস থেকে সমস্ত তথ্য পাওয়া যাবে অফিসের কম্পিউটার থেকে সমস্ত কিছু পাওয়া যাবে।

সেজন্য যত অফিস আছে সব জায়গায় রেড হওয়া উচিত। সমস্ত সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করলে সঠিক তথ্য সামনে আসবে। কত বড় এতে দুর্নীতি হয়েছে তখনই বোঝা যাবে। শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। দু’বছর ক্লাস হয়নি, তারপরেও ছুটি চলছে, স্কুলের বিল্ডিং ভেঙে যাচ্ছে, স্কুলের টিচার নেই। সরকারের কোনো নীতি নেই।

যারা পড়াশোনার সাথে যুক্ত এবং যারা শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক হন শিক্ষার্থী হন তারা দুজনেই কনফিউসড। এই যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সরকারকে বসে একটা করার স্টেপ নেওয়া দরকার। এটা কোন রাজনীতি নয় এটা একটা জাতির ভবিষ্যতের ব্যাপার।

সরকার যদি করা স্টেপ না নেয় তাদের যদি কোনো নীতি না থাকে তাহলে আগামী ভবিষ্যৎ বাঙালির অন্ধকার হয়ে যাবে। যারা সরকারে আছে তারা শুধু নন যারা শিক্ষা বিভাগের সঙ্গে যুক্ত যারা শিক্ষাবিদ আছে সবার সঙ্গে কথা বলা উচিত।

কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতি ওনারা মানবেন না, আলাদা শিক্ষানীতি এখানে তৈরি করবে এই করতে করতে আমাদের প্রজন্মকে এরা নষ্ট করে দেবেন এটা চিন্তার ব্যাপার আছে।”