বউবাজার বিপর্যয়ে ফের ধসে পড়ল বাড়ি

সােমবার ফের বিপর্যস্ত এলাকায় চোখের সামনে তাসের ঘরের মতাে একটি বাড়ি ভেঙে পড়ে তবে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িটি আগেই খালি করে দিয়েছিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ।

Written by SNS Kolkata | September 10, 2019 2:34 pm

বউবাজারের বিধ্বস্ত বাড়ি। (Photo: Kuntal Chakrabarty/IANS)

বউবাজার বিপর্যয় সামাল দিতে গিয়ে নাজেহাল কেএমসিএল কর্তৃপক্ষ। সােমবার ফের বিপর্যস্ত এলাকায় চোখের সামনে তাসের ঘরের মতাে একটি বাড়ি ভেঙে পড়ে তবে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িটি আগেই খালি করে দিয়েছিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বাড়িটির বেহাল দশার কারণে ভিতর থেকে কোনও আসবাব বা প্রয়ােজনীয় সামগ্রী বার করে নিয়ে আসতে পারেননি মালিক। বিপদ এড়িয়ে ডিএমজি কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সন্তর্পনে চলছে মালপত্র বার করার কাজ। প্রয়ােজনের অতিরিক্ত একজনকেও ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় প্রবেশের ছাড়পত্র দিচ্ছেন না মেট্রোর আধিকারিক থেকে শুরু করে পুলিশ।

অন্যদিকে স্যাঁকরা পাড়া লেনের কিছু বাড়ির মালিকের অনুমতি নিয়েই শুরু হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলাে ভেঙে ফেলার কাজ। কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকেই পাঁচটি বাড়ি ভাঙার কাজ সােমবার শুরু করা হয়েছে। তবে শুধু মেট্রো কর্তৃপক্ষ নয় সঙ্গে রয়েছেন কলকাতা পুরসভার কর্মী ও পুলিশের বিপর্যয় মােকাবিলা বাহিনী।

পাশ্ববর্তী বাড়িগুলােয় যাতে কোনও ক্ষতি না হয় তার জন্য সতর্ক ভাবে শুরু হয় বাড়ি ভাঙার কাজ। বাড়ি থেকে যতটা সম্ভব মালপত্র বার করে ফেলা হয়েছিল। সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুর্গা পিতুরি লেন ও স্যাঁকরা পাড়া লেন। দুঃশ্চিন্তায় প্রহর গুনছেন গৌর দে লেন, হিদারাম ব্যানার্জি লেনের বহু বাসিন্দা।

মেট্রোর তরফ থেকে বেশ কয়েকটি বাড়ি দেখে গেছেন স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়াররা। হালকা চিড় ধরেছে গৌর দে লেনের বেশ কয়েকটি বাড়িতে। আতঙ্কের পরিবেশ দিনভর বউবাজার এলাকা জুড়ে। জিনিসপত্র গুছিয়ে রেখেছেন বাসিন্দারা। মেট্রো কর্তৃপক্ষ বললেই যাতে দ্রুত খালি করা সম্ভব হয়। অন্যদিকে হােটেলগুলিতে শরনার্থী হয়ে রয়েছেন বিপন্ন বউবাজার বাসিন্দা। বিপর্যয়ের আকস্মিকতা কাটিয়ে আগামীর চিন্তায় সকলেই।

এদিকে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তােলার চেষ্টায় কেএমআরসিএলের বিশেষজ্ঞ দল। অ্যাকুইফারকে পাঁচিল দিয়ে বাঁধ তৈরি করা হয়েছে উভয় দিক থেকে। মাঝে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জলস্রোত ভর্তি করার কাজ শুরু করা হচ্ছে। ওয়াটার পকেট যাতে হঠাৎ সম্পূর্ণ ভেঙে না পড়ে তার জন্যই জল দিয়ে টানেলের বিপর্যস্ত অংশ বন্ধ করা হচ্ছে। তবে একটা পাঁচিলে জলের তীব্রতা রােখা সম্ভব না হওয়া আরও একটি পাঁচিল পাশ দিয়ে তৈরি করার কাজ প্রায় শেষের মুখে। প্রায় প্রতিদিনই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন বিদেশি বিশেষজ্ঞ দল।