এক ব্যাঙ্ককর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল হুগলি জেলার চন্দননগরে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম সৌমেন দে (৩৯)। চুঁচুড়া খাদিনা মোড়ের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে কর্মরত ছিলেন তিনি। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর চন্দননগরের রথের সড়কের একটি অভিজাত বহুতলে দ্বিতীয় স্ত্রী-পরিবার নিয়ে থাকতেন ওই ব্যাঙ্ককর্মী। সৌমেনবাবু সেই বহুতল আবাসন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে সন্দেহ পুলিশের। দেহ উদ্ধার করে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই আবাসনে সৌমেন দে ও তাঁর স্ত্রী, দু’জনে থাকতেন। বৃহস্পতিবার সকালে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে প্রাতরাশ করেন। এরপর সৌমেনবাবুর স্ত্রী বাবাকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে বেরিয়ে যান কলকাতায়। মনে করা হচ্ছে, স্ত্রী বেরিয়ে যেতেই আটতলায় থাকা ফ্ল্যাটের ব্যালকনি থেকে ঝাঁপ দেন সৌমেন। ধপ করে কিছু শব্দ পেয়েই ছুটে যান আশপাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা। তাঁরা বাইরে বেরিয়ে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় আবাসনের বাইরে পড়ে আছেন সৌমেন। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
Advertisement
চন্দননগর পুরনিগমের সিপিএম কাউন্সিলর অশোক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আবাসন থেকে একজন ঝাঁপ দিয়েছে শুনে আমি আসি। উনি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মী ছিলেন। ফ্ল্যাটে তখন একাই ছিলেন। ফ্ল্যাটের উত্তর দিকের লবি থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি।’ ব্যাঙ্ককর্মীর মাসতুতো দাদা বলেন, ‘মাসি ফোন করে জানায়, ভাইয়ের দুর্ঘটনা হয়েছে। আজকে অফিসে যাওয়ার আগে এটা হয়েছে। দ্রুত হাসপাতালে যাই। হাসপাতালে গিয়ে শুনি ফ্ল্যাট থেকে পড়ে গিয়েছে।’ কী কারণে এই মৃত্যু, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Advertisement
Advertisement



