নাতনিকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন দাদু। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি সোনারপুর থানা এলাকার কোদালিয়া কদমতলার। রবিবার সন্ধ্যায় প্রত্যুষা কর্মকার নামে চার বছরের ওই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে। এরপর শিশুর দাদু, দিদা এবং বাড়ির পরিচারিকাকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। পরবর্তীতে মৃতের দাদু প্রণব ভট্টাচার্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। শিশুটির দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে ওই বাড়িটি সিল করে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই শিশুটির বাবা-মা উভয়েই চাকুরিজীবী। তাঁরা কাজের সূত্রে প্রতিদিন বাইরে বেরোনোয় শিশুটি দাদু, দিদার কাছে থাকত। শিশুটিকে দেখভালের জন্য এক পরিচারিকাও ছিল। রবিবার সন্ধ্যায় ওই বাড়ি থেকে আচমকা চিৎকারের শব্দ শুনতে পান প্রতিবেশীরা। তাঁরা বাড়ি গিয়ে দেখেন, শিশুটি মেঝেতে পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। শিশুর দেহে একাধিক ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। তদন্তে নেমে প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
Advertisement
প্রতিবেশীদের একাংশের দাবি, প্রায় বছর দশেক আগে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় প্রণব ভট্টাচার্যের বড় মেয়ের। প্রণব চেয়েছিলেন, ছোট মেয়ের পুত্রসন্তান হোক। ছোট মেয়ের কন্যাসন্তান হওয়ার বিষয়ে খুব একটা খুশি ছিলেন না প্রণব। প্রশ্ন উঠছে, দাদুই কি শিশুটিকে মারধর করেছিলেন? বাড়িতে আরও দু’জন থাকা সত্ত্বেও কেন কেউ এই খুদেকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এলেন না? তদন্তে নেমে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
Advertisement
Advertisement



