কেন্দ্রের চিঠিতে উল্লেখ ‘গাের্খাল্যান্ড’, বাংলাভাগের ষড়যন্ত্র বলছে তৃণমূল

তৃণমুলের বক্তব্য, গাের্খাল্যান্ড শব্দের ব্যবহার করে আসলে কি বােঝাতে চাইছে কেন্দ্র? তবে কি বাংলা ভাগ চায় বিজেপি? এটা হতে দেওয়া যাবে না। 

Written by SNS Kolkata | October 5, 2020 11:57 am

তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Photo: IANS)

গাের্খাল্যান্ড ইস্যুতে আলােচনার জন্য ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকল কেন্দ্র। অক্টোবরের ৭ তারিখ বুধবার সকাল ১১ টায় দিল্লিতে এই বৈঠক হওয়ার কথা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি এই বৈঠকে পৌরােহিত্য করবেন। ইতিমধ্যে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব, জিটিএ-র প্রধান সচিব, দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক ও গোর্খা জনমুক্তি মাের্চার সভাপতির কাছে চিঠি পাঠানাে হয়েছে। 

কেন্দ্রের চিঠি আর তাতে স্পষ্ট লেখা রয়েছে ‘গাের্খাল্যান্ড’ শব্দটি। যা নিয়ে আপত্তি তুলেছে তৃণমূল। তৃণমুলের বক্তব্য, গাের্খাল্যান্ড শব্দের ব্যবহার করে আসলে কি বােঝাতে চাইছে কেন্দ্র? তবে কি বাংলা ভাগ চায় বিজেপি? এটা হতে দেওয়া যাবে না। 

যদিও বিজেপি’র সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর দাবি, রাজনৈতিকভাবে দার্জিলিংয়ের স্থায়ী সমাধান চায় কেন্দ্র। যদিও নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রের ডাকা এই বৈঠকে রাজ্যের কেউ থাকবে না। কারণ, নবান্নকে আগাম না জানিয়ে রাজ্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কেন্দ্র একতরফা বৈঠক ডাকতে পারে না। ফলে এই বৈঠক অসাংবিধানিক। 

গত ৭ আগস্ট জিটিএ নিয়ে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডেকেছিল কেন্দ্র। ২৭ জুলাই এই নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়, তা নিয়ে সােরগােল পড়ে যায় পাহাড়ে।

বিজেপি’র দুই জোটসঙ্গী বিমল গুরুং পন্থী গাের্খা জনমুক্তি মাের্চা ও জিএনএলএফ জানিয়ে দেয়, তারা এই বৈঠকে থাকছে না। পরে বিনয় তামাংও বৈঠকে থাকছেন না বলে জানান। ফলে বৈঠকটিও বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। 

এদিকে, রবিবার প্রয়াত হয়েছেন গাের্খা জনমুক্তি মাের্চার সভাপতি বিনয় তামাং-এর বাবা সিঙ্গা সিং তামাং। স্বাভাবিকভাবে বিনয় তামাং-এর পরিবারে এখন শােকের আবহ। অন্যদিকে, রাজ্যও তার প্রতিনিধি পাঠাতে নারাজ। গাের্খা জনমুক্তি মাের্চার পক্ষে রােশন গিরি অবশ্য জানিয়েছেন, বৈঠকে তারা প্রতিনিধি পাঠাবেন। 

এদিকে, গত অধিবেশনেই লােকসভায় দাঁড়িয়ে দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত বলেছিলে, ‘মােদি সরকার পাহাড় ও ডুয়ার্সের মানুষের স্থায়ী সমাধান চান। দীর্ঘদিন ধরে তারা গাের্খাল্যান্ডের দাবি করে আসছেন। ২০১৯ লােকসভা নির্বাচনের ইস্তাহারে পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি।’

রাজু বিস্তের এই মন্তব্যের রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ‘গাের্খাল্যান্ড’ নিয়ে বৈঠক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। মন্ত্রী গৌতম দেব সাফ জানিয়েছেন, বিজেপি’র বাংলা ভাগের ষড়যন্ত্র কোনও ভাবে সফল হতে দেওয়া যাবে না। এখন দেখার ৭ অক্টোবর কেন্দ্রের ডাকা বৈঠক ফলপ্রসূ হয় কিনা।