বৃষ্টি আর আবেগে ভিজে মাসের প্রথম লকডাউনে ঘরবন্দি শহর

আগস্ট মাসের প্রথম লকডাউন। তবে আর পাঁচটা লকডাউনের থেকে এই বুধবার দিনটা একটু আলাদা। কারণ এদিন অযোধ্যায় ভূমিপুজোর লগ্ন।

Written by SNS Kolkata | August 6, 2020 12:01 pm

লকডাউন (Photo: Kuntal Chakrabarty/IANS)

আগস্ট মাসের প্রথম লকডাউন। তবে আর পাঁচটা লকডাউনের থেকে এই বুধবার দিনটা একটু আলাদা। কারণ এদিন অযোধ্যায় ভূমিপুজোর লগ্ন। নিজের প্রতিজ্ঞা রাখতে উনত্রিশ বছর পরে অযোধ্যায় পা রাখছেন নরেন্দ্র মোদি। এদিনের লকডাউনের সৌজন্যেই রামমন্দির নির্মাণের ভূমিপুজো আড়ম্বরকে টেলিভিশনের পর্দায় দেখার মিলল অবকাশ।

সেইসঙ্গে সঙ্গত করল মেঘলা আকাশ। দিনভর দফায় দফায় ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গে ছিল দমকা হাওয়া। সব মিলিয়ে ধর্মীয় আবেগ আর বৃষ্টি ভেজা একটা লকডাউনের দিনে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই গৃহবন্দি হয়ে রইল নাগরিকরা। প্রায় শুনশান হয়ে রইল কলকাতা।

বুধবার আযোধ্যায় ভূমিপুজোকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোলের আশঙ্কায় সকাল থেকেই কড়া পুলিশ প্রহরা রাস্তায়। আগেই পুলিস প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছিল কঠোরভাবে পালন করা হবে। সেইমতো ভোর থেকেই সক্রিয় থেকেছে পুলিশ কর্মীরা। রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড করে রাখা হয়েছে।

বৃষ্টির মধ্যেই রাস্তার মোড়ে চেকিং চলেছে। শহর জুড়ে ঘুরে বেড়িয়েছে ‘পাইলট কার’। বিশেষ কারণ ছাড়া রাস্তায় কাউকে দেখলে জিজ্ঞাসাবাদ, বাইরে বেরনোর নথিপত্র দেখাতে হয়েছে পুলিশকে। অকারণে বেরোলে শাস্তিও দেওয়া হয়েছে। বিনা কারণে জমায়েত করার দায়ে আটক করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। বেশ কিছু বাইকও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যেসব জায়গায় দোকানপাট খোলা ছিল পুলিশের টহলদারিতে সেসব বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এদিন অবশ্য অযোধ্যার ভূমিপুজোর আড়ম্বর পালনের জন্য এই শহরের কোথাও কোথাও বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। নিউটাউন এলাকায় গুলিচালনার ঘটনাও ঘটেছে।

অন্যদিকে লকডাউনের দিন বারবার বারবার বদল করায় বিপাকে পড়ে উড়ান সংস্থা বুধবার চিঠি পাঠাল কেন্দ্রের অসামরিক বিমান পরিবহণ পরিষেবার সংশ্লিষ্ট দফতরে। তাদের যুক্তি লকডাউনের এইভাবে খেয়ালখুশিমতো পরিবর্তন করায় তাদের টিকিট বিক্রি করতে সমস্যা হচ্ছে।

আগস্ট মাসে প্রথমে ১৬, ১৭, ২৩, ২৪ লকডাউন থাকবে বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। সেইমতো টিকিট বিক্রিও করা হয়েছিল। শেষ মুহূর্তে সেই দিন পরিবর্তন করে ২০, ২১, ২৭, ২৮ আগস্ট করা হয়। এই অবস্থায় নতুন করে শেষ মুহুর্তে টিকিট বিক্রি করতে হলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে উড়ান সংস্থাগুলিকে।

The house locked town in the first lockdown of the month soaked in rain and emotion