আগামী মাস থেকে শুরু হতে চলেছে বিশেষ নিবিড় সংশোধনী প্রক্রিয়া। বাংলা-সহ পাঁচ রাজ্যে ভোটার তালিকায় চালু হবে এসআইআর। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ শুরু করে দিয়েছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দপ্তরও। শোকজ করা এক হাজারের বেশি বুথ লেভেল অফিসারদের অবিলম্বে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী বিএলওরা কমিশনের নির্দেশ পালন করতে বাধ্য। কর্তব্য এবং দায়িত্বে গাফিলতি হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। এসআইআর-এর কাজ সময়ের মধ্যে শেষ করতে কোনও রকমের যুক্তি, অজুহাত এবং ঢিলেমি বরদাস্ত করা হবে না স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে কমিশন।
Advertisement
এসআইআর পদ্ধতির ট্রেনিংয়ের জন্য বিএলও-দের সাতদিন সময় দেওয়া হবে বলে খবর। প্রত্যেক জেলার নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবে অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকরা। ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন যুগ্ম নির্বাচনী আধিকারিক পর্যায়ের আধিকারিকরা। এই মর্মে জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর।
Advertisement
এসআইআর প্রক্রিয়ায় কর্মরত কাউকে অন্য কাজ করতে হবে না বলেও জানিয়েছে কমিশন। এমনকি বদলিও করা যাবে না। বেশ কিছু রাজ্যের বিএলও কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিল। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করা হয় বলে অভিযোগে জানানো হয়েছিল। নিজেদের পেশার পাশাপাশি নির্বাচনের কাজ করতে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়তে হয় বলেও জানান তাঁরা। সেই সমস্যাগুলি দূর করতেই কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে খবর।
আগামী সপ্তাহের শুরুতেই এসআইআর নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে পারে। কমিশন সূত্রের খবর, সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ফুল বেঞ্চের বৈঠকের পর এসআইআর সংক্রান্ত বেশ কিছু নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। এর পর থেকে তৎপরতা বেড়েছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে।
এসআইআর চালু হওয়া সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পরই ডাকা হবে সর্বদলীয় বৈঠক। রাজ্যস্তরের পাশাপাশি জেলাস্তরেও তা হবে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকরা রাজ্যস্তরের রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। ঠিক তেমন ভাবে জেলাস্তরেও জেলাশাসকদের করতে হবে এই ধরনের বৈঠক। দুই স্তরের বৈঠকের যাবতীয় রিপোর্ট পাঠাতে হবে দিল্লিতে। প্রতিনিয়ত তা খতিয়ে দেখা হবে। এর জন্য তৈরি রাখা হচ্ছে নতুন টিমও।
Advertisement



