কলকাতার একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান ইডির। একাধিক মামলার তদন্তের পাশাপাশি এবার মানব পাচার মামলার তদন্তে নেমেছেন ইডি আধিকারিকরা। দমদমের নাগেরবাজারে এক ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে ও তিনজন ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ২০১৫ সালের মানব পাচার মামলায় নাম জড়িয়েছিল শহরের একাধিক ব্যবসায়ী ও ইঞ্জিনিয়ারের। শুক্রবার সেই মামলার তদন্তে নেমেছে ইডি।
শুক্রবার সকালে মানব পাচার মামলায় ইডি প্রায় পাঁচ থেকে ছয়টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায়। ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে ছিলেন সেনাবাহিনীর জওয়ানরাও। নাগেরবাজারের এক ইঞ্জিনিয়ার ও সল্টলেকের দুই ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।
Advertisement
এর পাশাপাশি শিলিগুড়িতেও মানব পাচার মামলায় তদন্ত করছে ইডি। সূত্রের খবর, সল্টলেকে যে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ইডি তল্লাশি চালিয়েছে তাঁর হোটেলের ব্যবসা। শহরের একাধিক হোটেল ও বারের মালিক তিনি। গত বেশ কয়েক বছর আগে তাঁর নাম নারী পাচার মামলায় জড়ায়।
Advertisement
এফআইআর দায়ের করা হয় তাঁর নামে। এরপর হোটেলে নারী পাচার চক্র চালানোর অভিযোগে তিনি বিধাননগর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারও হন। কয়েকমাস জেলেও থাকেন তিনি। সেই সময়ে তাঁর নামে বেআইনি লেনদেনের অভিযোগ উঠে। এরপর জামিনে ছাড়া পেয়ে যান ওই ব্যবসায়ী।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ছিল যে, হোটেল চালানোর পিছনে মানব পাচার চক্রের ব্যবসা করার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। এই কারণে প্রচুর বেআইনি লেনদেন হয় তাঁর নামে। ২০১৮ সালে এই মামলার তদন্তের দায়ভার পড়ে ইডির উপর। সেসময়ও তল্লাশি চালানো হয়। শুক্রবার ফের তদন্তে নেমে ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি হানা দেয় ইডি।সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে মামলায় জড়িত এই ইঞ্জিনিয়ার ও ব্যবসায়ীর উপর নজর ছিল
গোয়েন্দাদের। তল্লাশি চালিয়ে মামলা সংক্রান্ত নথি খুঁজে বার করার চেষ্টা করছেন ইডি আধিকারিকরা। বেআইনি লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়টি জানতেও ব্যাঙ্কের নথি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে। মানব পাচার মামলায় এই ইঞ্জিনিয়ারে ভূমিকা কী ছিল তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সম্প্রতি একাধিক মামলার তদন্তে সক্রিয় হয়েছে ইডি। বৃহস্পতিবার বালি পাচার মামলায় ব্যবসায়ী অরুণ শরাফকে গ্রেপ্তার করে ইডি। তারপরই ইডি শুক্রবার সকালে মানব পাচার মামলায় তল্লাশি অভিযান চালায়।
Advertisement



