পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় এসআইআর অর্থাৎ বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এই আবহে রাজ্যের প্রায় ৬০০ বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও)–কে শোকজ করেছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই বিএলও–রা কাজ করতে চাইছেন না। এর কারণ জানতে সংশ্লিষ্ট বিএলও–দের নোটিস পাঠানো হয়েছে। নোটিস পাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে কমিশন।
রাজ্যে হতে চলেছে এসআইআর। সেই কারণে সম্প্রতি বিএলও নিয়োগ শুরু করেছে কমিশন। তারপরই ওই দপ্তরের সচিব বিনোদ কুমারকে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর জানিয়েছে, অনেক শিক্ষক–শিক্ষিকা বিএলও–র নিয়োগপত্র গ্রহণ করছেন না। এই বিষয়টি জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের রিপোর্ট থেকে ফুটে উঠেছে। কেন তাঁরা নিয়োগ চান না তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জানাতে বলা হয়েছে। এর আগেও কয়েকজন বিএলও–কে এই কারণে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। তাঁরাও কাজে অব্যাহতি চেয়েছিলেন।
Advertisement
কমিশন সূত্রে খবর, অনেক বিএলও কাজে আগ্রহ দেখায়নি এবং দায়িত্ব পালনে অনীহা প্রকাশ করেছেন। সেই কারণে তাঁদের কাছ থেকে জবাব তলব করা হয়েছে। কমিশনের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজনে বিএলও–দের পুলিশি সহায়তা দেওয়া হবে। কোথাও নিরাপত্তাজনিত সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করবে কমিশন। এবিষয়ে বিভিন্ন জেলার প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কমিশনের আধিকারিকরা। কমিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নিরাপত্তার সব দায়িত্ব নেওয়ার পরেও যদি কর্মীরা কাজ করতে না চান তাহলে তা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অমান্য করার শামিল হবে।
Advertisement
উল্লেখ্য, এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সম্ভাবনার পর থেকেই বিএলওদের হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। সেই কারণে অনেক কর্মী বিএলও–র কাজ করতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়লে তাঁদের উপর চাপ বাড়বে। তাঁরা হামলারও আশঙ্কা করেছেন। এই আবহে প্রায় ৬০০ বিএলও–কে শোকজ নোটিস পাঠিয়েছে কমিশন।
Advertisement



