• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ফের আইনি বেড়াজালে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্প

আইনি বেড়াজালে থমকে ছিল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ। তবে তা আদালতের ঘেরাটোপে মিটে যায়। ফের আইনী সমস্যায় পড়লো ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ।

কলকাতা মেট্রো

এর আগেও আইনি বেড়াজালে থমকে ছিল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ। তবে তা আদালতের ঘেরাটোপে মিটে যায়। ফের আইনী সমস্যায় পড়লো ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ।

এবার সেন্ট্রাল পার্ক মেট্রো স্টেশন নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। মঙ্গলবার এই মামলাটি দাখিল হয়েছে। মামলাকারীদের দাবি, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কোনও পার্ক এলাকায় নির্মাণ কার্য চালানো যায় না।

Advertisement

এমনকী পার্কের ভিতরে কোনও হাসপাতাল বা বিদ্যালয়ও করা যায় না। কিন্তু মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ পার্কের ভিতরেই নির্মাণকাজ চালাচ্ছেন। এতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করা হচ্ছে।

Advertisement

এই মর্মে তাই অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন মামলাকারীরা। এদিন এই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজশ্রী ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ মেট্রো কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে বিস্তারিত তথ্য দিতে বলেছে।

আদালতের তরফে মেট্রো কর্তৃপক্ষের কাছে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্ক সংলগ্ন এলাকায় মেট্রোর নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

মামলাকারীরা এও জানিয়েছেন, ‘সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কের সংলগ্ন বিভিন্ন জায়গা বিভিন্ন সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে। আর সেটা নিয়ে ব্যবসা চলছে। তাতে আপত্তি রয়েছে এলাকাবাসীদের’।

ইষ্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ‘লাইন টু’ হল সেক্টর ফাইভ থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটারের রাস্তা। এই রাস্তা সেন্ট্রাল পার্ক থেকে ফুলবাগান যাচ্ছে, যা মিলবে শিয়ালদাতে। দীর্ঘ আইন জটিলতা কাটিয়ে আপাতত পাঁচটি রুটে চলছে মেট্রোরেল।

চলতি বছরের গত ফেব্রুয়ারি মাসে সেক্টর ফাইভ থেকে সল্টলেক স্টেডিয়ামের মধ্যে চালু হয় ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। ফুলবাগান থেকে শিয়ালদহ অবধি কাজ প্রায় শেষের দিকে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে মেট্রোরেল নির্মাণ নিয়ে অভিযোগ তুলে মামলা দাখিল হলো।

এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ১ ফেব্রুয়ারিতে। তার আগে বিস্তারিত তথ্য জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের তরফে।

Advertisement