মুখ্যমন্ত্রীর ঝাড়খণ্ড সফরকে তীব্র কটাক্ষ দিলীপের

ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সােরেনের শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানে মমতার যােগ দেওয়াকে বিদ্রুপ করে দিলীপ ঘােষ একে ‘ঝাড়খণ্ড সার্কাস’ বলেন।

Written by SNS Kolkata | December 31, 2019 3:50 pm

দিলীপ ঘােষ (File Photo: IANS)

নাগরিকত্ব সংশােধনী আইনের সমর্থনে বারুইপুরে দিলীপ ঘােষের নেতৃত্বে ‘অভিনন্দন যাত্রা’কে কেন্দ্র করে সােমবার বিজেপি ও তৃণমুল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এমনকী বিজেপির অভিযােগ সেখানে মদত দিয়েছে পুলিশও। সেই ঘটনার সূত্র ধরেই বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘােষ এদিন তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিশেষ করে এদিন দিলীপবাবু মুখ্যমন্ত্রীর ঝাড়খণ্ড সফরকেই রাজনৈতিকভাবে আক্রমণ করেন।

ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সােরেনের শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানে মমতার যােগ দেওয়াকে বিদ্রুপ করে দিলীপ ঘােষ একে ‘ঝাড়খণ্ড সার্কাস’ বলেন। তাঁর কথায়, কায়দা করে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্য রাজ্যে গিয়ে টাকা দিয়ে আসছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ঝাড়খণ্ড সফরের মুল উদ্দেশ্য এটাই। বস্তুত হেমন্তের স্মরণসভায় বিরােধী ঐকতাকে কটাক্ষ করাই ছিল দিলীপবাবুর লক্ষ্য।

সােমবার আইসিসিআর-বিজেপির দলীয় সভা থেকে তিনি তৃণমূল নেত্রীর প্রতিবাদ আন্দোলনকে আক্রমণ করে দিলীপবাবু বলেন, এনআরসি বিরােধিতা করার জন্য বিরােধীদের লাশ গুণতে হবে। এর আগেও অবশ্য তিনি এই ধরনের ভাষা প্রয়ােগ করেছেন। কলকাতায় রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছাত্ররা বিক্ষোভ সমাবেশ করতে চাইলে দিলীপ ঘােষের হুংকার ছিল, ওখানে ঢুকতে গেলে স্ট্রেচার নিয়ে যেতে হবে। আবারও এইভাবে বিরােধীদের প্রাণনাশের হুমকি দিলেন তিনি।

বিশেষ করে সিএএ ইস্যুতে বিরােধী ঐক্যের বিরুদ্ধে সােমবার সরব হলেন তিনি। বললেন বিরােধিতার নাম করতে সবাই এক লাইনে এসে দাঁড়াল। লােকসভা নির্বাচনের আগেও ইউনাইটেড ফ্রন্টের ব্যানারে এক লাইনে দাঁড়িয়েছিল। মানুষ বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। দিদিমণির ট্র্যাক রেকর্ড ভালাে নয়। যে সরকারের দিকে দৃষ্টি দেয়, সেই সরকারই বেশিদিন টেকে না।

দলীয় কর্মীদের একজোট হতে দিলীপবাবু এদিন দলীয় সমাবেশে কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, যেখানে যেখানে আমাদের দলের সরকার আছে, সেখানে আন্দোলনের নামে সমাজবিরােধীদের কাজ চলছে। তাদের যেভাবে শায়েস্তা করা দরকার, সেভাবে শায়েস্তা করা হচ্ছে। তাই বিরােধীদের বলছি, সারা দেশে লাশ গুণতে হবে।

আসলে সিএএর’র বিরুদ্ধে জনমত গঠনে নানান পথ অবলম্বন করছে রাজ্য বিজেপি। এর মধ্যে দিলীপ ঘােষ চড়া সুরে বিভিন্ন মন্তব্য করে দলীয় কর্মীদের মনােবল বাড়াতে চাইলেও, তা নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা।