আকর্ষণ বাড়াতে আরও বাতি লাগানো হবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে। সন্ধ্যার পর ঝলমলিয়ে উঠবে মন্দির। সম্প্রতি সেই কাজ শুরু করেছে হিডকো। পুণ্যার্থীদের দাবি, অতিরিক্ত বাতি লাগানো হলে মন্দিরের আকর্ষণ ও দীপ্তি আরও বেড়ে যাবে।
জানা গিয়েছে, ১২টি প্রদীপস্তম্ভ প্রস্তুত করা হয়েছে। এই স্তম্ভগুলিতে মোট ৬৭২টি বাতি লাগানো হবে। এক একটি প্রদীপস্তম্ভে ৫৬টি করে ধাতব বাতি জ্বালানো হবে। এগুলি মেটালিক ইলুমিনেটিং ল্যাম্প। একসঙ্গে এতগুলি বাতি জ্বললে ঝলমল করবে মন্দির চত্বর। ইতিমধ্যেই এই বাতি লাগানোর কাজ শুরু করেছে হিডকো।
৩০ এপ্রিল অক্ষয় তৃতীয়ার দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন হয়। এর পর থেকে মন্দিরে উপচে পড়ছে ভিড়। উদ্বোধনের পর থেকে প্রতিদিন ৫৫–৬০ হাজার পুণ্যার্থী মন্দিরে ভিড় করছেন। শনি–রবিবার দর্শনার্থীদের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ, তিনগুণ বাড়বে। রাজ্যের পাশাপাশি ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকেও পুণ্যার্থীরা মন্দিরে আসছেন। উদ্বোধনের সময় মন্দির চত্বরে প্রচুর বাতি লাগানো হয়েছিল। এ বার মন্দিরের আকর্ষণ আরও বাড়াতে সমস্ত প্রদীপস্তম্ভে ধাতব বাতি বসানো হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, মন্দিরের ভিতর বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার ফিডার পিলার বক্স অন্য জায়গায় সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সেইসঙ্গে পুজো দেওয়ার জন্যে ডালা সাজানোর নির্মিত স্টল, চৈতন্য গেট এবং মাসির বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। ‘ডালা আর্কেড’ থেকে জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দু’টি কমপ্লেক্সে মোট ৩৬টি স্টল তৈরি করা হয়েছে। মন্দিরকে ঘিরে ব্যবসা গড়ে উঠেছে। এর ফলে অর্থনীতি আরও মজবুত হচ্ছে।