এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে ২০২ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন এক রােগীর মৃত্যুর পর তার দেহ ছাড়তে নারাজ কর্তৃপক্ষ, এমনটাই অভিযােগ।
৩৮ হাজার টাকা বাকি রয়েছে, সেই টাকা না দিতে পারলে দেহ মর্গে পাঠানাে হবে না, এমনটাই অভিযােগ রােগীর পরিবারের। ফলে দেহ না পেয়ে মৃতার ৮৭ বছরের বৃদ্ধা বাবা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করলেন।
Advertisement
রাজ্যের অন্যতম প্রধান সরকারি হাসপাতালের এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় সর্বত্র। বর্ণালী মণ্ডল নামে এক মহিলা গত ৪ জুন গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। অভিযােগ, শ্বশুরবাড়ি নয়, বাপের বাড়িতেই তিনি নাকি গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হয়েছিলেন।
Advertisement
শরীরের বেশির ভাগ অংশ পুড়ে যাওয়ায় বর্ণালী দেবীকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই হাসপাতালের থেকেই তিনি তার বন্ধুদের বাবা-মায়ের অত্যাচারের কথা লিখেছিলেন। বর্ণালীদেবীর মৃত্যু হয় রবিবার। কিন্তু তার দেহ টাকার জন্য আটকে রাখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় হতভম্ব বর্ণালীর আত্মীয়-পরিজনরা।
পরিবারের তরফে অভিযােগ করা হয়েছে, টাকা না দিলে দেহ মর্গে পাঠানাে হবে না, এমনই হুঁশিয়ারি নাকি তাদের দেওয়া হয়েছে। যদিও সরকারি হাসপাতালে স্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে কোনও দেহ টাকার জন্য আটকে রাখা যাবে না। পরে জানা যায়, কয়েক ঘণ্টা পর টাকা দেওয়া হলে দেহ ছাড়া হয়।
এ প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা তথা চিকিৎসক ফুয়াদ হালিম জানিয়েছেন, এই ঘটনা নিঃসন্দেহে আইনত অপরাধ। পরিবারের লােকেরা মামলা করলে দোষীরা শাস্তি পাবে। করােনা পরিস্থিতিতে আর্থিকভাবে সবাই বিপর্যক্ত হয়ে পড়েছেন। এধরনের অভিযােগ বেসরকারি হাসপাতালগুলির ক্ষেত্রে আমরা শুনতে পাই। কিন্তু সরকারি হাসপাতালের এই ঘটনা ব্যতিক্রমী এবং নজিরবিহীন বলে ফুয়াদ হালিম মন্তব্য করেন।
স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এই ঘটনার সত্যতা জানতে চেয়ে এসএসকেএমের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যােগাযােগ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
Advertisement



