বাংলায় করোনা অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ২০০ ছাড়াল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত বাংলায় অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ২০৫। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে ৮৯ জনের। স্বস্তির খবর একটাই, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে বাংলায় কোনও করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন দু’জন। গোটা দেশে করোনা অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৩৩৯৫। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৬৫ জন।
খড়গপুর আইআইটির এক গবেষকও করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গি বলেন, ‘আমরা আইআইটি খড়গপুরের এক গবেষকের কোভিড আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট হাতে পেয়েছি। উপসর্গ আগের মতোই। স্বাদ-গন্ধ না পাওয়া, জ্বর-সর্দি, কাশি প্রভৃতি। মৃদু উপসর্গ থাকলে এবং ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে ভয়ের কিছু নেই।’
Advertisement
কলকাতায় মোট ২১ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। বাকি আক্রান্ত জেলার। আক্রান্তদের মধ্যে অনেকে কলকাতা শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে যেমন ভর্তি রয়েছেন, তেমনই জেলাতেও করোনা রোগীর খোঁজ মিলেছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, কারোরই অবস্থা গুরুতর নয়। তবুও সতর্কতা হিসেবে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে তাঁদের।
Advertisement
আক্রান্তের সংখ্যার এই বাড়বাড়ন্ত দেখে এখন থেকেই সচেতন হতে বলছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের পরামর্শ, উপসর্গ থাকলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আরও বেশি করে করোনা নির্ধারণকারী পরীক্ষা করানো হোক। চিকিৎসকেরা মনে করছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো জরুরি। সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট করোনা গাইডলাইন বেঁধে দেওয়া দরকার। উদ্বেগজনক না হলেও, সতর্ক হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
করোনা প্রধান উপসর্গগুলি হল – জ্বর, সর্দি, গলা জ্বালা, মাথা যন্ত্রণা, অতিরিক্ত ক্লান্তি, গাঁটে গাঁটে ব্যথা, পেশিতে ব্যথা, গ্যাস, অম্বলের সমস্যা। চিকিৎসকদের পরামর্শ – জনবহুল এলাকায় মাস্ক পরুন, বাইরে থেকে ফিরে হাত-পা ধুয়ে নিন এবং পোশাক বদল করে ফেলুন, খাবার আগে ব্যবহার করুন স্যানিটাইজার। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
Advertisement



