করােনা আতঙ্ক কাটিয়ে ছন্দে ফিরছিল রাজ্য। কিন্তু তা দীর্ঘস্থায়ী হল না। শনিবার ফের উর্ধ্বমুখী হল রাজ্যের দৈনিক করােনা সংক্রমণ সেই সঙ্গে বাড়ল দৈনিক মৃত্যুও। করােনা সংক্রমণের নিরিখে রাজ্যের মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সৰ্বাধিক মৃত্যু হয়েছে নদিয়া জেলায়।
স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় এ রাজ্যে করােনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের, যা শুক্রবারের তুলনায় অনেকটাই বেশি। এদিকে রাজ্যের সুস্থতার হার বেড়ে ড়িয়েছে ৯৮,১২ শতাংশ দকে সংক্রম হার বেড়েছে ১.৬৪ শতাংশ। উত্তর ২৪ পরগনায় নতুন করে করােনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭ জন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
Advertisement
জলপাইগুড়ি ৭৬, তৃতীয় স্থানে কলকাতা। একদিনে নদিয়া জেলায় মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। উত্তর ২৪ পরগনায় ৩ জনের, কলকাতায় ২ জনের, হুগলিতে ২ জন এবং জলপাইগুড়ি, হাওড়া ও পূর্ব মেদিনীপুরে একজন করে মারা গিয়েছেন। সবমিলিয়ে রাজ্যে করােনায় মােট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৮ হাজার ২১৭ জন।
Advertisement
এদিকে, জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকাকে ছাড়পত্র দেওয়া হল। আমেরিকার এই সংস্থাটিকে ছাড়পত্র দিল ভারত। সংস্থাটির দাবি, তাদের তৈরি একটি টিকাই করােনা প্রতিরােধে সক্ষম। করােনার তৃতীয় ঢেউ যখন আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন, ঠিক সেই সময় জরুরি ভিত্তিতে এই টিকাকে ছাড়পত্র দেওয়া হল।
শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব টুইটারে এই ছাড়পত্র দেওয়ার কথা ঘােষণা করেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী টুইটারে লেখেন, ভারতের ঝুলিতে ক্রমশ টিকার সংখ্যা বাড়ছে। জরুরি ভিত্তিতে জনসন অ্যান্ড জনসনকে ছাড়পত্র দেওয়া হল। তাদের একটি টিকাই কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করতে কার্যকরী ভূমিকা নেবে।
বর্তমানে ৫ টি টিকা রয়েছে ভারত্রে হাতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য। জনসন আসায় কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই আরও শক্তিশালী হবে। ভারতের হাতে কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন, রাশিয়ার স্পুৎনিক ভি, আমেরিকার মডার্মা এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা রয়েছে।
এখনও পর্যন্ত ৫০ কোটি টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। আবেদনের একদিনের মধ্যে জনসন অ্যান্ড জনসনকে ভারতের বাজারে ছাড়পত্র দিল কেন্দ্র।
Advertisement



