মেট্রো রেলের সুড়ঙ্গ নির্মাণে ১৬ সেপ্টেম্বর অবধি কাজ বন্ধ

গত দুই থেকে তিনদিনে মেট্রো রেলের ইস্ট-ওয়েস্ট রেললাইন নির্মাণে বউবাজার এলাকায় বেশ কিছু বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনায় তােলপাড় মহানগর।

Written by SNS Kolkata | September 4, 2019 2:51 pm

ইস্ট-ওয়েস্ট কলকাতা মেট্রো। (Photo: Kuntal Chakrabarty/IANS)

গত দুই থেকে তিনদিনে মেট্রো রেলের ইস্ট-ওয়েস্ট রেললাইন নির্মাণে বউবাজার এলাকায় বেশ কিছু বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনায় তােলপাড় মহানগর। মঙ্গলবার সকালেও দুর্গা পিতুরি লেনের তিনতলা এক বাড়ি ভেঙে পড়ে কোনও প্রাণহানি না ঘটলেও ৩২৩ জনকে ঘটনাস্থলের বাড়িগুলি থেকে সরিয়ে রেখেছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।

নিজ বাড়ি ডুকতে না পারা এবং বিশেষজ্ঞ মহলের রিপাের্ট নিয়ে যৌক্তিকতা নিয়ে গত সােমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জরুরিকালীন শুনানির পিটিশন দাখিল করে এক সমাজসেবী সংস্থা। মঙ্গলবার দুপুরে শুনানি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল নায়ার রাধাকৃষ্ণণ এবং বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে।

এদিন ডিভিশন বেঞ্চ মেট্রো রেলের এই কাজ বন্ধে স্থগিতাদেশ জারি করে থাকে। আগমী ১৬ সেপ্টেম্বর অবধি কোনও কাজ করতে পারবে না। এরই মধ্যে বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট এবং মেট্রোরেলের রিপোর্ট জমা দিতে হবে। তা দেখে পরবর্তী নির্দেশ দেবে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষকে এও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেসব বাড়ি মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ কাজের জন্য সিল করে রেখেছে, সেই বাড়িগুলিতে মালিকপক্ষ ১ জন করে ঢুকতে পারবেন জিনিসপত্র নেওয়ার জন্য। এই মামলায় আবেদনকারীর অইনজীবী ঋজু ঘােষাল রয়েছে।

আজকের শুনানিতে মেট্রো রেলের আইনজীবী জানিয়েছে, ইস্ট-ওয়েস্ট পাতাল রেলপথের ১০.৮ কিমি রেলপথের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৯.৮ কিমি রেলপথের কাজ শেষ হয়েছে।শুধুমাত্র ১ কিমির পথ বাকি রয়েছে, যার কাজ চলছিল। মূলত বিবাদী থেকে ভায়া বড়বাজার হয়ে হাওড়া স্টেশন যাওয়ার পথটি টানা বর্ষণে ভূগর্ভস্থ টানেলে জল ঢুকে যাওয়াতেই এই বিপত্তি বলে কেউ কেউ দাবি করছে।

ইতিমধ্যেই প্রস্তাবিত ভূগর্ভস্থ রেলপথের উপরে থাকা বাড়িগুলিতে ৩২৩ জনকে সরিয়ে রেখেছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। গত দুই থেকে তিনদিনে বেশ কিছু বাড়ি ভেঙে পড়ে। সেই সঙ্গে সিংহভাগ বড়িগুলিতে ফাটল দেখা যায়। যদিও মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ এইসব বাড়ির মেরামতির পুরাে দায়িত্ব নিয়েছে। তবে যখনতখন বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। সেই সঙ্গে হতে পারে প্রাণহানি। তাই বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপাের্টকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে জরুরিকালীন শুননির জন্য পিটিশন দাখিল হয়। মঙ্গলবার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ১৬ সেপ্টেম্বর অবধি মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে কাজ বন্ধ রাখতে হবে। আদালতের আদেশ ছাড়া যেন কাজ শুরু না হয়। আর ১৩ দিনের মধ্যে বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপাের্ট সহ মেট্রো রেলের রিপাের্ট দাখিল করতে হবে।