• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

চাকরি বাতিলে স্কুলের পঠন-পাঠন, খাতা দেখা, শিক্ষা পোর্টালে তথ্য আপলোড নিয়ে চিন্তা বাড়ছে

২০১৬ সালের এসএসসির প্যানেলের ‘দাগি’ শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদের এখনই ইস্তফা দিতে হচ্ছে না। হাতে তিনমাস সময় রয়েছে।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম রায়ে ২৫ হাজার ৫৭২ জন শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর চাকরি চলে গেল। ফলে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ল রাজ্যের স্কুলগুলি। এই বিপুল সংখ্যক চাকরি চলে যাওয়ার পর শিক্ষক ও কর্মী সঙ্কটে পড়ল রাজ্যের অধিকাংশ স্কুল। এই অবস্থায় কীভাবে ছাত্রছাত্রীদের পঠনপাঠন হবে, কারা নেবেন ক্লাস? স্কুলের অন্যান্য কাজকর্ম কীভাবে চলবে? তা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত রাজ্যের স্কুলগুলির পাশাপাশি অভিভাবকরাও।

রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও স্কুলে দুইজন, কোনও স্কুলে ৩ জন, আবার কোনও কোনও স্কুলে ৮ থেকে সর্বোচ্চ ৩৬ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে। এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে কারা ক্লাস নেবেন, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠক্রম কীভাবে শেষ হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশেষ করে একাদশ-দ্বাদশের বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকের অভাব প্রকট হবে।

Advertisement

এদিকে অনলাইন ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর স্কুলগুলির ওপর কাজের চাপ ক্রমশ বাড়ছে। সারা বছরই পরীক্ষা, মূল্যায়ণ, ফলাফল বাংলার শিক্ষা পোর্টালে তুলতে হয়। এই অবস্থায় প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর চাকরি চলে যাওয়ার ফলে সব কাজ ঠিকঠাক করে ওঠা স্কুলগুলির পক্ষে খুব কঠিন হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। দ্রুত এই ঘাটতি পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ পুরো প্রক্রিয়াটা এখনও বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমার জটিল প্রক্রিয়ার মধ্যে আটকে রয়েছে। সেজন্য চিন্তা বাড়ছে বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষের।

Advertisement

অন্যদিকে এই রায় যে সময়ে ঘোষিত হয়েছে, ঠিক সেই সময়ে রাজ্যের স্কুলগুলির মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখার কাজ চলছে। গত ১৮ মার্চ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। তার আগেই সমাপ্ত হয়েছে ২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা। ইতিমধ্যে প্রায় ৬৫ শতাংশ খাতা দেখা হয়ে গেলেও এখনও বাকি রয়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ। মাঝপথে চাকরি বাতিল হয়ে গেলে সেই কাজের গতি কমে যাবে। কিভাবে খাতা দেখা সম্পন্ন হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সেজন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের সময়ও পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

যদিও সূত্রের খবর, ২০১৬ সালের এসএসসির প্যানেলের ‘দাগি’ শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদের এখনই ইস্তফা দিতে হচ্ছে না। হাতে তিনমাস সময় রয়েছে। তা সত্ত্বেও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের প্রভাব শিক্ষকদের উপর পড়বে, সে বিষয়ে কোনও সংশয় নেই।

Advertisement