প্রধানমন্ত্রী ফোন করেননি বলে অনুযােগ, দলবদলুদের প্রতি উদার

কালীঘাটের বৈঠকে আসুক অ-বিজেপি ফ্রন্টের তার গ্রহণযােগ্যতার ইঙ্গিত দিয়ে আগামীদিনে জাতীয় রাজনীতিতে বাংলার যাওয়া উত্থানের ইঙ্গিত দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Written by SNS Kolkata | May 4, 2021 5:38 pm

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Photo: IANS)

সােমবার কালীঘাটের বৈঠকে আসুক অ-বিজেপি ফ্রন্টের তার গ্রহণযােগ্যতার ইঙ্গিত দিয়ে আগামীদিনে জাতীয় রাজনীতিতে বাংলার যাওয়া উত্থানের ইঙ্গিত দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরুদ্ধে জানালেন, জয়ের সংবাদের পরে জাতীয় নেতাদের মধ্যে কারা কারা তাঁকে শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন।

একই সঙ্গে বললেন, অনেকে ফোন করলেও প্রধানমন্ত্রী আমায় ফোন করেননি। হয়তাে ব্যস্ত ছিলেন বলেই। তবে আমি অবশ্য কিছু মনে করিনি। জাতীয় স্বার্থে এবং রাজ্যের স্বার্থে আমাদের যেখানে একসঙ্গে কাজ করার কথা, সেখানে সহযােগিতা থাকলেই হল।

মমতার কথায় এদিন কিছুটা অভিমান এবং কিছুটা অনুযােগের সুর ধরা পড়ে। অন্যদিকে দলত্যাগী বিধায়কদের প্রতিও উদারতা দেখিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেন, দলবদলু’রা ফিরে এলে স্বাগত। তবে নন্দীগ্রামে তার প্রতিদ্বন্দ্বী শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করে ভােটে মাফিয়াবাজির প্রসঙ্গ তােলেন মমতা।

সােমবার মমতা বলেন, উদ্ধবজি ফোন করেছিলেন। উনি খুব খুশি তৃণমূলের জয়ে। অরবিন্দ কেজরীওয়ালের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছে। হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হুডাজি, অমরিন্দর সিংজিও ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত নবীন পট্টনায়েকও মমতাকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন। মমতা বলেন, আমরা সবাই এক হয়ে কাজ করব, সেই কথাই হয়েছে। মমতার এই কথাই ২৯২৪ সালের লােকসভা নির্বাচনে জাতীয় সম্ভাবনার কথা উসকিয়ে দিল।

অন্যদিকে দলত্যাগীদের প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেন, আসুক না, কে বারণ করেছে। তবে তৃণমূল থেকে দলত্যাগ করে বিজেপিতে যাওয়া তার একদা সেনাপতি শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সােমবার নাম না করেই ক্ষোভ উগরে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নন্দীগ্রামে ভােট গণনায় কারচুপি হয়েছে বলে রব্বিার থেকেই অভিযােগ করে আসছে তৃণমূল। সােমবার একটি অডিও শুনিয়ে মমতা নন্দীগ্রামের এক রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মেসেজ নিয়ে কথােপকথন তুলে ধরেন।

মমতা বলেন, এক জনের কাছ থেকে এসএমএস পেয়েছি। নন্দীগ্রামের এক রিটার্নিং অফিসার জানিয়েছেন, বন্দুকের নলের মুখে কাজ করতে হচ্ছে। তিনি যদি পুনর্গণনার নির্দেশ দেন, তাহলে তার প্রাণসংশয় হতে পারে। তার বাড়িতে ছােট মেয়ে রয়েছে। এই রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে কার কথা হয়েছে, সেকথা অবশ্য প্রকাশ্যে আনেননি মমতা।

তবে সাংবাদিকদের সামনে জানিয়েছেন, নন্দীগ্রামে দু’জন রিটার্নিং অফিসার বিজেপির হয়ে কাজ করেছেন। ইভিএম মেশিন পাল্টে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযােগ মমতার। বিষয়টি নিয়ে তারা আদালতে যাবেন বলেও জানিয়েছেন মমতা।

মমতার দাবি, ততক্ষণ পর্যন্ত ভিভিপ্যাট, পােস্টাল ব্যালট এবং ইভিএম মেশিন আলাদা করে সরিয়ে রাখতে হবে। তদন্ত করে দেখতে হবে সেগুলিতে কোনও বিকৃতি ঘটানাে হয়েছে কিনা? মমতার বক্তব্য, ইচ্ছে করে সার্ভার ডাউন করে রাখা হয়েছিল।

তা না হলে সারা বাংলার এমন ফলাফল, আর নন্দীগ্রামে আলাদা ফল হয় কী ভাবে। মমতার দাবি কিছু পুলিশ অফিসারও বিজেপির প্রতি পক্ষপতাদুষ্ট হয়েই কাজ করেছেন। তা না হলে হয়তাে ৫০ আসনেই আটকে যেত বিজেপি।