রাজস্থানের কোটা’য় আটকে পড়া ছাত্রছাত্রীদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমত বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার সকালে টুইট করে একথা জানিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবিষয়ে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে বলে টুইটে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকারি আধিকারিকদের উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, রাজস্থানের কোটা’য় আটকে পড়া এই রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের ফিরিয়ে আনতে কয়েকদিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
Advertisement
এর আগে রাজ্যের মুখ্যসচিব জানিয়েছিলেন, এই মুহূর্তে ছাত্রছাত্রীদের ফেরানো হচ্ছে না। কারণ অন্য রাজ্যের মধ্য দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের আনতে হবে, সেক্ষেত্রে সে রাজ্যের অনুমতি লাগবে। এরপর সক্রিয় হন অধীর চৌধুরী। কথা বলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারও তৎপর হয়। ইতিমধ্যে এই নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে নবান্ন।
Advertisement
যতদূর জানা যাচ্ছে, শুধু নির্দেশ দেওয়াই নয়, নিজে বিষয়টি তদারকি করছেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি টুইটে লিখেছেন, সবাই যাতে সবরকম সাহায্য পান তার জন্য যা কিছু করা সম্ভব সবটাই করা হচ্ছে। আমি নিজে বিষয়টি নিয়ে তদারকি করছি। পরিকল্পনাও শুরু হয়েছে।
মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য প্রায় কয়েক হাজার পড়ুয়া আটকে রয়েছে এরাজ্যের। এদিকে, যদি ছাত্রছাত্রীদের ফিরিয়ে আনা হয় তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থাও করা হবে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
এদিকে, সোমবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে কোটায় আটকে পড়া ছাত্রছাত্রীদের প্রসঙ্গটি উঠে আসে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেন, লকডাউনের সময় এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাতায়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি আছে। তিনি নিষেধাজ্ঞা মানছেন, কিন্তু অন্যরা মানছেন না।
এপ্রসঙ্গে নীতীশ কুমার বলেন, তাঁরা তো সম্পন্ন পরিবারের সন্তান। তাদের কোটা’য় থাকতে কি সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু কয়েকটি রাজ্যের সরকার ছাত্র ও শ্রমিকদের ভিন রাজ্য থেকে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। দয়া করে একটা সাধারণ নীতি চালু করুন।
ইতিমধ্যে কোটা থেকে ১০ হাজার ছাত্রছাত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। উল্লেখ্য, আগেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কোটা’য় আটকে থাকা ছাত্রছাত্রীদের ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন তাদের রাজ্যে।
Advertisement



