মমতার হুংকারেও অনড় বাস মালিকেরা

কলকাতাসহ রাজ্যের গণপরিবহণ নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। পথে বাস না নামালে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এই হুঁশিয়ারিতেও টলানো গেল না বাসমালিক সংগঠনের কর্তাদের।

Written by SNS Kolkata | July 2, 2020 12:59 pm

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (File Photo: IANS)

কলকাতাসহ রাজ্যের গণপরিবহণ নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। পথে বাস না নামালে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এই হুঁশিয়ারিতেও টলানো গেল না বাসমালিক সংগঠনের কর্তাদের। বরং বাস সমস্যা সমাধানে বুধবার হাইকোর্টে দায়ের করা হল জনস্বার্থ মামলা।

কলকাতার হাইকোর্টের বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে একটি মামলা দায়ের করেছেন রমাপ্রসাদ সরকার নামে একজন আইনজীবী। যে মামলার মূল আবেদন বাস সমস্যার সমাধানে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি তৈরি হোক। যে কমিটির হাতে বাসভাড়া বৃদ্ধি অথবা রাস্তায় বাস নামানোর জন্য সবরকম পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা থাকবে।

এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পর বাস মালিকরাও তাদের বাসভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে বিন্দুমাত্র সরে আসেননি। দু’টি বাসমালিক সংগঠনের মালিকের বক্তব্য, নিয়ন্ত্রিত যাত্রী নিয়ে বাস চালাতে হলে ভাড়া বৃদ্ধিই একমাত্র বিকল্প পথ। তাছাড়া কোনওভাবেই রাস্তায় বাস নামানো সম্ভব নয়। বরং যাঁরা কথা দিয়েছেন, তারা বাস নামানোর ব্যবস্থা করুন। আর রাজ্য সরকার রিকিউজিশন দিয়ে পথে বাস নামালে তো ভালোই।

এদিকে অল বেঙ্গল বাস ও মিনিবাস সমন্বয় সমিতি দাবি করেছে বুধবার কলকাতা ও শহরতলিতে তাদের দেড় হাজার বাস চলেছে। যদিও ছয় হাজার বাসকে ভর্তুকি দিয়ে চালানোর তত্ত্বে বিশ্বাসী নন তারা। অন্যদিকে শর্ত মেনে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয় বলে নবান্নকে জানিয়ে দিল মেট্রো। ফলে আনলক ২ পর্ব শুরু হলেও রাজ্যে বাস পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি। লোকসানের যুক্তিতে পুরনো ভাড়ায় সীমিত যাত্রী নিয়ে পরিষেবা দিতে নারাজ বাস মালিকেরা।

মুখ্যমন্ত্রী আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি বার্তার পরেও বুধবার বেসরকারি বাস রাস্তায় নামেনি। ফলে চূড়ান্ত হয়রানির মুখে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের। এই অবস্থায় রাজ্য সরকার এবং বাস মালিকদের সংঘাত একদম তুঙ্গে উঠেছে। বুধবার দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে এই বাস সমস্যার সমাধান মিলবে বলে মনে করা হচ্ছে।