দলের বিজয়া সম্মিলনীতে শােভন ডাক পেলেও তালিকা থেকে বাদ বৈশাখী

বিজেপির তরফে সাফাই দিয়ে বলা হয়, দলের তরফে যাদের থাকার প্রয়ােজন আছে বলে মনে হয়েছে, তাদেরকে ডাকা হয়েছে। এখানে অন্য কোনাে রকম উদ্দেশ্য নেই।

Written by SNS Kolkata | November 22, 2020 2:50 pm

শােভন চট্টোপাধ্যায় (File Photo: IANS)

কাছে এসেও যেন গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে দূরত্ব কাটতে চাইছে না শােভন-বৈশাখীর। শুক্রবার রাতে কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অরবিন্দ মেনন এবং সহকারী সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।

শুক্রবার রাতে শুরু হওয়া এই বৈঠক শনিবার ভাের পর্যন্ত চলে এবং বৈঠকের পর রীতিমতো দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ওপর সন্তুষ্ট ছিলেন শােভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সকালের সহজ-সরল সম্পর্কের হঠাৎ করে জটিলতা তৈরি হয় বিজয় সম্মিলনীর আমন্ত্রণকে কেন্দ্র করে। 

প্রসঙ্গত, ২২ তারিখ বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান আয়ােজন করা হচ্ছে রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে। আর এই অনুষ্ঠানে যােগ দেওয়ার জন্য শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করা হয় রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে। এদিকে শােভন আমন্ত্রণ পেলে আমন্ত্রণ পাননি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এতেই মনঃক্ষুন্ন হয়েছে শােভন চট্টোপাধ্যায়ের, মনে করা হচ্ছে এমনটাই। 

শােভন ঘনিষ্ঠদের কথায়, শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় দুজনেই বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য। সেক্ষেত্রে যদি কোন অনুষ্ঠানের আয়ােজন করা হয় তাহলে দুজনকেই আমন্ত্রণ জানানাে উচিত। কিন্তু এক্ষেত্রে শােভন চট্টোপাধ্যায় আমন্ত্রণ পেলেও কেন আমন্ত্রণ পেলেন না বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। 

অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের বক্তব্য, ইচ্ছাকৃতভাবে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে বিজেপির একাংশ এই পদক্ষেপ নিয়েছে। তাদের কথায় শােভন চট্টোপাধ্যায়, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে কোনােভাবেই বিজেপির হয়ে লড়াই না করে, তা চাইছে গেরুয়া শিবিরের একাংশ। তাই বিভাজন নীতির আশ্রয় নিচ্ছে তারা। এর আগেও এই ধরনের ঘটনা নিয়ে দলের সঙ্গে মতান্তর হয়েছিল শােভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। 

কিন্তু শুক্রবারের বৈঠকের পর আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে শােভন চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকা কী হবে তা নিয়ে রীতিমত একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছে ছিল গেরুয়া শিবির এবং এই দুই নেতা-নেত্রী। তাহলে কেন পুনরায় শােভন-বৈশাখীকে একই ঘটনার সম্মুখীন ফেলা হল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। 

যদিও বিজেপির তরফে সাফাই দিয়ে বলা হয়, দলের তরফে যাদের থাকার প্রয়ােজন আছে বলে মনে হয়েছে, তাদেরকে ডাকা হয়েছে। এখানে অন্য কোনাে রকম উদ্দেশ্য নেই।