কলকাতা, ৫ ফেব্রুয়ারি: চার দিন ধরে নিখোঁজ ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের দেহ উদ্ধার। গতকাল স্থানীয় একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হল সেই ছাত্রের মৃতদেহ। মৃত ছাত্র নরেন্দ্রপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়ত বলে জানা গিয়েছে। এই ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে তোলপাড় দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর। স্থানীয় মানুষজনের দাবি, চারদিন নিখোঁজ ছিল ওই পড়ুয়া। পুলিস গুরুত্ব দিয়ে খোঁজই করেনি। শেষ পর্যন্ত এলাকারই একটি পুকুরে ভেসে ওঠে ওই পড়ুয়ার মৃতদেহ। তারপরই তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
মৃত ওই ছাত্রের বাড়ি নরেন্দ্রপুরের মহামায়াতলা এলাকায়। নাম অপ্রতীম ঢালি। পরিবার সূত্রে খবর, চারদিন আগে অপ্রতীম বন্ধুদের সঙ্গে একটি বিয়ে বাড়ি গিয়েছিল। তারপর থেকে সে আর বাড়ি ফেরেনি। এনিয়ে নরেন্দ্রপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। কিন্তু তারপর থেকে অপ্রতীমের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। পরিবারের দাবি, পুলিস গুরুত্ব দিয়ে খোঁজখবর করেনি। রবিবার বিকালে ঢালিপাড়ায় অপ্রতীমের মৃতদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারপরই পুলিসে খবর দেওয়া হয়। পুলিস এলে তাদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মানুষজন। শুরু হয় তুলকালাম। পরে বিশাল পুলিস বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। স্থানীয় মানুষজনের দাবি, চারদিন আগে অপ্রতীম নিখোঁজ হয়েছে। নিয়ম অনুযয়াী ডায়েরিও করা হয়েছে। কিন্তু পুলিস খোঁজখবর করতে পারেনি। পরিবারকে সামান্যটুকু আশার খবরও দিতে পারেনি। এদিন পুলিস এলে তাঁদের ঘিরে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এলাকায় ভালো ছেলে বলে পরিচিত ছিল অপ্রতীম। তার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মানুষজন। তাঁদের দাবি, পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে ওই ছাত্রকে।
Advertisement
এদিকে, নরেন্দ্রপুর থানা সূত্রে খবর, মৃত ওই ছাত্রের দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। কাদের সঙ্গে অপ্রতীম বিয়েবাড়ি গিয়েছিল, তা খোঁজখবর করে দেখা হচ্ছে। পরিবারের এক ব্যক্তির বক্তব্য, যে পোশাক পরে অপ্রতীম বেরিয়েছিল, সেই পোশাকেই তার দেহ উদ্ধার হয়েছে। নিখোঁজ হওয়ার পর বার বার পুলিসের কাছে গিয়ে অপ্রতীমের ফোনের কললিস্ট বের করতে বলা হয়েছিল। কার সঙ্গে তার কথা হয়েছিল, তা জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওরা কিছুই করেনি। এখন বলছে পুরো বিষয়টা দেখছি। পরিবারের আরও দাবি, ওকে আটকে রাখা হয়েছিল। যখন দেখেছে থানা পুলিস হয়েছে এবং এডিজির কাছে পর্যন্ত খবর গিয়েছে, তখন ওকে মেরে ফেলেছে।
Advertisement
Advertisement



