• facebook
  • twitter
Wednesday, 17 December, 2025

খসড়া ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ার অভিযোগে সিইও দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ বিএলওদের

বৈধ ভোটার হওয়া সত্ত্বেও নাম বাদ পড়েছে— এই অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার সিইও দপ্তরের সামনে বিক্ষোভে শামিল হন ‘বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটি’র সদস্যরা

খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হতেই নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কলকাতার রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দপ্তর চত্বর। বৈধ ভোটার হওয়া সত্ত্বেও নাম বাদ পড়েছে— এই অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার সিইও দপ্তরের সামনে বিক্ষোভে শামিল হন ‘বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটি’র সদস্যরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশবাহিনী।

পূর্ব ঘোষণা মতো মঙ্গলবার সকালে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। জানা গিয়েছে, যাঁরা এনুমারেশন ফর্ম ফিল আপ করেছেন, তাঁদের নাম যেমন তালিকায় রয়েছে, তেমনই যাঁরা ফর্ম জমা দেননি, তাঁদের নামও বুথভিত্তিক ভাবে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রকাশিত তালিকায় মৃত, ডুপ্লিকেট, স্থানান্তরিত ভোটারদের নামও রয়েছে।

Advertisement

কিন্তু তালিকা প্রকাশের পরই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একের পর এক অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করে। কোথাও বৈধ ভোটারের নাম মৃতের তালিকায় ঢোকার অভিযোগ উঠছে, আবার কোথাও সদ্য ভোটার হওয়া ব্যক্তিদের নাম বাদ পড়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভ বাড়ছে।

Advertisement

এই আবহে মঙ্গলবার সিইও দপ্তরের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ‘বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটি’র সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, দেশের অন্যান্য রাজ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের সময়সীমা বাড়ানো হলেও পশ্চিমবঙ্গে তা হয়নি। ফলে বহু জায়গায় খসড়া তালিকা ঠিকভাবে দেখা যাচ্ছে না। পাশাপাশি বৈধ ভোটারের নাম কী কারণে বাদ পড়ছে, তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা দাবি করেন তাঁরা।

বিক্ষোভকারীরা মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নিজেদের দাবি জানাতে চান। যদিও কমিশনের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও সময় দেওয়া হয়নি। এই অভিযোগে সিইও দপ্তরের সামনে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, সে জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। গোটা বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহলে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

Advertisement