প্রত্যক্ষ বাধা নয়, ২১ এর মঞ্চমুখী ভিড় আটকাতে কাটমানি ইস্যুকেই হাতিয়ার করতে চাইছে বিজেপি। কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই জেলায় গ্রামে শহরে শহিদ সমাবেশের জন্যে সভা করেছেন তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা।
কিন্তু শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির প্রতি সরাসরি অভিযােগের আঙুল তুলে বলেন, স্বাভাবিকের তুলনায় রবিবার প্রায় ৩০ শতাংশ ট্রেন কম চালানাের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে ২১ জুলাই-এর সভায় যােগ দিতে না পারেন সেই জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি।
Advertisement
এদিকে রবিবার ২১ জুলাই-এর সভায় যােগ দিতে আসা সাধারণ মানুষজনকে বাধা দিতে পারেন বিজেপি নেতারা এমনটাই আশঙ্কা শাসক দলের একাংশের। এমনকি মঞ্চ মুখী ভিড় ঠেকাতে এদিন অবরােধ কর্মসূচীও নিতে পারে। গেরুয়া শিবির, এমনই অভিযােগ করছিলেন বেশ কিছু শাসক দলের নেতা।
Advertisement
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা জানান, বিজেপির কর্মী সমর্থকরা কোথাও কোনও অবরােধ কর্মসূচী পালন করবে না। কিন্তু তৃণমূল নেতারা ২১ জুলাই-এর মঞ্চে যােগ দিতে গেলে, সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাতে তাদের পথ আটকাবেন কাটমানির টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য বলে দাবি এই বিজেপি নেতার।
অন্যদিকে, রাহুল সিনহার সঙ্গে সুর মিলিয়ে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু আরও বলেন, সাধারণ মানুষ যদি এদিন তৃণমূল নেতাদের পথ আটকে কাটমানির টাকা ফেরত চায় সেক্ষেত্রে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবেন বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে ২১ জুলাই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘােষ জানান, শহিদ স্মরণ নয়, সার্কাস হবে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের কথায়, লােকসভা নির্বাচনে এই রাজ্য থেকে ১৮ টি আসন পাওয়ার পর ক্রমশ শক্তি বাড়িয়েছে গেরুয়া শিবির। ২১ জুলাই-এর পাল্টা হিসাবে আগষ্ট মাসে বিজেপিও একটি শহিদ সমাবেশ আয়ােজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে লােকসভা নির্বাচনের পর এই প্রথম কোনও বড় সভার আয়ােজন করতে চলেছে রাজ্য শাসক দল। সেক্ষেত্রে পুরানাে ভিড় ধরে রাখতে মরিয়া তৃণমূল। এদিকে প্রত্যক্ষভাবে সভায় যােগ দিতে আসা সাধারণ মানুষকে না আটকালেও কাটমানি ইস্যুতে এদিন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সুর চড়াতে পারে বিজেপি, এমনটাই মনে করছেন অভিজ্ঞ মহলের একাংশ।
Advertisement



