• facebook
  • twitter
Sunday, 14 December, 2025

বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে বহড়ু পঞ্চায়েতের উপপ্রধান

দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে দল ছাড়লেন জয়নগর ব্লকের বহড়ু ক্ষেত্র গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সঙ্গীতা হালদার।

বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। তার আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় বিজেপিতে ভাঙন। দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন জয়নগর ব্লকের বহড়ু ক্ষেত্র গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সঙ্গীতা হালদার। তাঁর বক্তব্য, ‘দীর্ঘদিন ধরে এলাকার নানা সমস্যা দলীয় নেতৃত্বকে জানালেও কোনও সাড়া মেলেনি। সেই ক্ষোভ থেকেই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

রবিবার জয়নগর বিধানসভা কেন্দ্রের সাংগঠনিক বৈঠকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক জাহাঙ্গীর খানের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। জাহাঙ্গীর খান বলেন, ‘আগামী বিধানসভা নির্বাচনে লক্ষাধিক ভোটে জয়ের লক্ষ্য নিয়েই আমরা মাঠে নামছি। বিরোধী দলের বহু কর্মী ও জনপ্রতিনিধি বুঝতে পারছেন, উন্নয়নের কাজ তৃণমূলেই সম্ভব। তাই সবাই জোড়াফুলের দিকে আসছেন।’

Advertisement

অন্যদিকে দলবদলকারী সঙ্গীতা হালদারের কথায়, ‘পঞ্চায়েত ভোটে প্রচুর লড়াই করে জিতেছি। তখন দল আমার পাশে দাঁড়ায়নি। এলাকাবাসীর জন্য আরও বেশি কাজ করতে চাই। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া।’

Advertisement

এদিকে বিজেপির অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে এবং প্রলোভন দেখিয়েই সঙ্গীতাকে দলে টেনেছে তৃণমূল। জয়নগর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি নেতা মিহির মণ্ডল বলেন, ‘তৃণমূল চাপ সৃষ্টি করে আমাদের দলের সদস্যকে নিয়ে গিয়েছে।’ সঙ্গীতার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন তিনি।

অন্যদিকে, সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সদস্য অপূর্ব প্রামাণিকের দাবি, ‘বিজেপি ও তৃণমূল, একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। দু’দলই সুযোগসন্ধানী রাজনীতির উপর দাঁড়িয়ে আছে। গণতন্ত্রের কাছে এটি বিপজ্জনক।’ এই দলবদল নিয়ে আপাতত সরগরম জয়নগরের রাজনৈতিক মহল। তবে আসন্ন বিধানসভা ভোটে এই ঘটনার প্রভাব কতটা পড়বে, তা সময়ই বলবে।

Advertisement