• facebook
  • twitter
Sunday, 14 December, 2025

দিল্লি বিস্ফোরণে আটক আরও এক চিকিৎসক, কানপুর থেকে আটক করল এটিএস

জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে খবর, ধৃত চিকিৎসকের নাম মহম্মদ আরিফ

দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় আটক আরও এক চিকিৎসক। এবার উত্তরপ্রদেশের কানপুর থেকে আটক করল সন্ত্রাসদমন শাখা বা এটিএস। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে খবর, ধৃত চিকিৎসকের নাম মহম্মদ আরিফ। বৃহস্পতিবার সকালে কানপুরের এক ভাড়াবাড়ি থেকে ওই চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে। দিল্লি বিস্ফোরণে ধৃত মহিলা চিকিৎসক শাহিন শাহিদ এবং অন্যান্যদের সঙ্গে আরিফের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল বলে খবর। সেই সূত্র ধরেই আটক চিকিৎসকের খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত চিকিৎসক মহম্মদ আরিফ হৃদরোগবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। কানপুরের অশোকনগর এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। বৃহস্পতিবার ভোরে সেখান থেকেই তাঁকে আটক করা হয়েছে।  ধৃত শাহিনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল আরিফ ও বাকিদের। একই সঙ্গে চণ্ডীগড় ও পাঞ্জাবের মোহালির চার-পাঁচটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে আরও এক জনকে আটক করেছে এনআইএ। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

Advertisement

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ডিসেম্বরে দিল্লির ছ’টি জায়গায় ধারাবাহিক বোমা হামলার পরিকল্পনা ছিল শাহিন, মুজাম্মিল, উমরদের। এ নিয়ে পাঁচ স্তরীয় পরিকল্পনাও করা হয়েছিল। প্রথমে বিভিন্ন রাজ্যের ডাক্তারি পড়ুয়াদের একত্র করে দল তৈরি করা হয়েছিল। এরপর হরিয়ানা এবং গুরুগ্রামের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিস্ফোরক তৈরির জন্য রাসায়নিক এবং আইইডি সংগ্রহ করা হয়। তৃতীয় ধাপে বিস্ফোরক তৈরির কাজ শুরু হয়। এরপর হামলার জন্য সম্ভাব্য এলাকা বাছা হয়।

Advertisement

চতুর্থ ধাপে মডিউলের সদস্যদের মধ্যে বিস্ফোরক ভাগ করা হয়। এই পরিকল্পনার পঞ্চম ও শেষ ধাপেই ছিল বোমা হামলা। আগামী ৬ ডিসেম্বর অর্থাৎ বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন দিল্লির ছয় থেকে সাত জায়গায় বোমা হামলার  পরিকল্পনা ছিল ওই গোষ্ঠীর। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ২০২৫ সালের আগস্ট মাসে বোমা হামলার কথা ছিল। তবে  নানা কারণে পিছিয়ে যায়। শেষমেশ হামলার দিন হিসাবে বেছে নেওয়া হয় ৬ ডিসেম্বর, অর্থাৎ বাবরি মসজিদ ধ্বংসের  দিনটিকে।

সোমবার সন্ধ্যায় লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণ হয়। একটি সাদা রঙের হুন্ডাই আই২০ গাড়ি বিস্ফোরণে নিহত হন কমপক্ষে ১৩ জন। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন উমর উন-নবি নামে এক চিকিৎসক। ওই দিনই সকালে ফরিদাবাদে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক পদার্থ উদ্ধার করে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং হরিয়ানা পুলিশের যৌথ দল। গ্রেপ্তার করা হয়েছিল মুজাম্মিল আহমেদ, শাহিন শাহিদ সহ-একাধিক ব্যক্তিকে।

বুধবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরের করণ সিং নগর থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তাজমুল আহমেদ মালিক নামে এক চিকিৎসককে। শ্রীনগরের এসএইচএমএস হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে খবর। কুলগামের বাসিন্দা এই চিকিৎসককে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের স্পেশাল টিম গ্রেপ্তার করে।  তাঁকে জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেন্টারে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

দিল্লি বিস্ফোরণের পরেই দেশজুড়ে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা।  তদন্তে উঠে এসেছে,  ফরিদাবাদের আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন চিকিৎসক এই নাশকতার পিছনে রয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ একে ‘হোয়াইট কলার টেরর ইকোসিস্টেম’ বলে অভিহিত করেছেন।  সামাজিক তথা দাতব্য কাজের আড়ালে সন্ত্রাসের তহবিল চালানো হচ্ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement