• facebook
  • twitter
Sunday, 14 December, 2025

এসআইআর আতঙ্কে ফের মৃত্যু, এবার নদিয়ায় প্রাণ গেল এক বৃদ্ধের

‘২০০২ সালের তালিকায় নাম ছিল না। এসআইআর ঘোষণার পর থেকেই উদ্বেগে ছিলেন। খাওয়া দাওয়া প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন।‘

এসআইআর আতঙ্কে দিকে দিকে মৃত্যুর খবর। আতঙ্কে শুধু সাধারণ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে না। এসআইআরের কাজের চাপে নমিতা হাঁসদা নামে এক বিএলও-এর ব্রেন স্ট্রোক হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। সোমবার এসআইআর আতঙ্কে ফের মৃত্যুর অভিযোগ। বছর সত্তরের শ্যামল কুমার সাহা নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। বৃদ্ধার বাড়ি নদিয়ার তাহেরপুর থানার কালীনারায়নপুর পাহাড়পুরের কৃষ্ণচকপুর মণ্ডলপাড়ায়। পরিবারের অভিযোগ, ‘২০০২ সালের তালিকায় নাম ছিল না। এসআইআর ঘোষণার পর থেকেই উদ্বেগে ছিলেন। খাওয়া দাওয়া প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন।‘

আজ, অর্থাৎ সোমবার সকালে মৃত্যু হয় শ্যামল কুমার সাহার। পরিবারের রোজগারের অন্যতম ভরসা ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে একেবারে অথৈজলে পরিবার। ঘটনার খবর পেয়েই সেখানে ছুটে গিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব-সহ পঞ্চায়েত সদস্যরা।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর,  প্রায় ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে ভারতেই বসবাস করছেন শ্যামল কুমার সাহা। সমস্ত বৈধ নথি ,ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড, এমনকী বাড়ির দলিলও রয়েছে বলে দাবি পরিবারের। তবে ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ছিল না বলে খবর। তাই এসআইআর ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই শ্যামল কুমার সাহা আতঙ্ক এবং উদ্বেগে ছিলেন বলে দাবি পরিবারের। তাঁর স্ত্রী জানিয়েছেন, ‘প্রায় খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। সবসময় চিন্তায় থাকতেন।‘

Advertisement

অন্যদিকে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী জানিয়েছেন, ‘ওনার ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ছিল না। পরবর্তীকালে নাম তোলা হয়। আধার কার্ড, ভোটার কার্ড সব আছে। সারাদিন চিন্তায় থাকতেন।‘  বারবার বুঝিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি। শ্যামল বাবুর পরিবারে রয়েছেন স্ত্রী, দুই ছেলে এবং দুই বৌমা। তাঁর দুই ছেলেই বাইরে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। বিভিন্ন জায়গায় শীতের পোশাক ফেরি করতেন  তিনি।

Advertisement