চন্দননগর ও কৃষ্ণনগরের মতো এই বছর রিষড়াতে জগদ্ধাত্রী পুজো কিছুটা হলেও আনন্দ ও উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে পালিত হচ্ছে। রিষড়াতে জগদ্ধাত্রী পুজো নবমী তিথি থেকেই চালু হয়। সেই হিসাবে ধরতে গেলে শনি বার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত পুজো চলবে আর বুধবার প্রতিমা নিরঞ্জন।
কিন্তু তিথি মেনে সকল পুজো কমিটি তাদের ঘট বিসর্জন রবিবার করে ফেলেছে। রিষড়াতে এই বছর কোভিড নিয়ে সরকারি নিয়ম মেনেই পুজো কমিটি গুলো পুজো পরিচালনার দায়িত্ত্ব গ্রগণ করেছে।বেশির ভাগ পুজো কমিটি গুলো মন্ডপ এ দর্শনাথী প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে।কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু দর্শনার্থীদের বিনা মাস্ক এ ঘুড়তে দেখা যাচ্ছে।
Advertisement
পৌরসভার ও পুলিশ প্রশাসন তাদের সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে পুজো পরিচালনা করার জন্য। তবে কিছু মানুষের এই নিয়ম নীতি না মেনে চলার দৃষ্টান্ত লক্ষণীয়। রিষড়াতে এই বছর একশোর বেশি পুজো হয়েছে। সাবেকি ও থিমের মেলবন্ধন এ পুজো হয়েছে রিষড়াতে। খুব ভালো ভালো মন্ডপ ও প্রতিমা চোখে পড়লো।
Advertisement
এই সব মন্ডপ এর মধ্যে অঙ্কুর পুজো কমিটি মন্ডপ ও প্রতিমা বেশি নজর করেছে। ৪২তম বর্ষের তাদের ভাবনা’ শ্রদ্ধাঞ্জলি’। প্রায় ৩ থেকে ৪ হাজার প্রদীপ দিয়ে নির্মিত এই মন্ডপ।
শুধু তাই না সমগ্র মন্ডপটির অনেক অংশ ঘুরছে। মা জগদ্ধাত্রীর রূপটাও চোখে পড়ার মতো। কথা হয় অঙ্কুর এর সম্পাদক সৌমাভ দাশগুপ্ত এবং সঞ্জীব পাত্রের সাথে। তাদের এবারের পূজা ভাবনার বিষয়ে বলতে গিয়ে তারা জানান জীবনের দুটি অবস্থা।
একটি শিথিল ও অপরটি গতিময়। বর্তমান সময়ে করোনা মহামারী জীবনকে শিথিল করে রেখেছে। কিন্তু আমাদের জীবনে গতি আনতেই এই পরিকল্পনা। ২০২০ ও ২০২১’এর অনেক নিজেদের কাছের মানুষজনকে হারিয়েছে তাই প্রদীপ দিয়েই তাদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেছেন তারা।
আর জীবনের এক অর্থবহ দিক তুলে ধরে আলো যার প্রতীকী হল প্রদীপ। প্রত্যেক অন্ধকারের পরেই আসে আলো। ঠিক তেমন এই সময়কে কাটিয়ে আমাদের জীবনে আবার আগের মতন সুদিন ফিরবে এটাই মূল ভাবনার বিষয়।
Advertisement



