এসআইআর আতঙ্কে ফের মৃত্যুর অভিযোগ। এবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের এক বৃদ্ধার। নাম কেশিমন বিবি। বয়স ৮৩ বছর। কোলাঘাট থানার ভোগপুর গ্রামে তাঁর বাড়ি। ২০ নভেম্বর রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন ওই বৃদ্ধা। কেশিমনের ছেলে শেখ নাসিরুদ্দিনের জানিয়েছেন, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ছিল না তাঁর। আর সেই জন্য উদ্বেগে ছিলেন কেশিমন বিবি। উদ্বেগ থেকেই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি ছেলের।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা টুটুল মল্লিক জানিয়েছেন, ‘২০০২ সালেও এসআইআর হয়েছিল। সেই সময়ে মানুষের মধ্যে এই মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়নি। নির্বাচন কমিশন একটা অসুখ চাপিয়ে দিচ্ছে। তা মানুষের শরীরকে আক্রমণ করছে। কেশিমন বিবির ভোটার কার্ড, আধার কার্ড রয়েছে। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম না থাকার কারণে তিনি আতঙ্কে ছিলেন। সেই উদ্বেগ থেকেই তাঁর মৃত্যু।’
Advertisement
বিজেপি পাল্টা তোপ দেগে বলেছে, তৃণমূল অযথা সাধারণ মানুষের মনে এসআইআর নিয়ে আতঙ্ক তৈরি করছে। ভুল ভাবে প্রচার চালাচ্ছে। আর সেই জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। বৈধ নথি থাকলে কারও নাম এসআইআর তালিকা থেকে বাদ পড়বে না বলে জানিয়েছে গেরুয়া শিবির।
Advertisement
গত ২৭ অক্টোবর বাংলা-সহ ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এসআইআরের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই আতঙ্কে অনেকের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতে থাকে। মৃত্যু হয় দুই বিএলও–রও। তাঁদের মধ্যে একজন কাজের চাপে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রাজ্যে একাধিক মৃত্যুর জন্য বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনকে দুষছে তৃণমূল কংগ্রেস। অবিলম্বে এসআইআর প্রক্রিয়া স্থগিত করার জন্য আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটমুখী বঙ্গে তড়িঘড়ি করে কেন এসআইআর করা হচ্ছে, তা নিয়ে সরব শাসকদল থেকে সিপিএম এবং কংগ্রেস। অন্যদিকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ তুলে সরব পদ্ম শিবির।
Advertisement



